ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াল নিউজিল্যান্ড। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ৫০ রানের জয়ে সমতায় ফিরেছে কিউইরা।
বার্বাডোজের ব্রিজটাউনে শনিবার টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে সফরকারী নিউজিল্যান্ড। দলীয় ৩১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে সফরকারীরা, তবে ফিন অ্যালেন হাল ধরলে কিছুটা রক্ষা পায় কিউইরা।
ড্যারিল মিচেলের সঙ্গে ৮৪ রানের জুটিতেই মূলত ২১২ রানের ছোট সংগ্রহ দাঁড় করায় টম লাথামের দল। এই জুটি ভাঙলে আবারও ক্রিজে আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন ব্রেসওয়েল, নিশামরা। শেষ পর্যন্ত ৪৮.২ ওভারেই অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড।
কিউই ব্যাটার ফিন অ্যালেন ৪ রানের জন্য দেখা পাননি ওয়ানডেতে নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরির।
রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই ওপেনার কাইল মায়ার্সকে হারিয়ে ধাক্কা খায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে ক্যারিবীয়রা। ট্রেন্ট বোল্ট ও টিম সাউদির বোলিং তোপে ২৭ রানে ৬ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।
পরে আকিল হোসেন ও ইয়ানিক কারিয়াহ দলের হাল ধরলেও সপ্তম ও অষ্টম উইকেটে ৪৫ রানের বেশি তুলতে পারেন টিম উইন্ডিজ। ৭২ রানে ৮ উইকেট হারালে বড় ব্যবধানে হার এক প্রকার নিশ্চিত হয়ে যায় ক্যারিবীয়দের। এ সময় নামে বৃষ্টি, যা কমিয়ে দেয় ৯ ওভার ও এক রান।
বৃষ্টির পর খেলা শুরু হলে খানিকটা আশা জাগান ইয়ানিক কারিয়াহ ও আলজারি জোসেফ। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে জয়ের চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত হার নিয়েই মাঠ ছাড়ে নিকোলাস পুরানের দল।
কারিয়াহ-জোসেফ জুটিতে ১০.৪ ওভারে আসে ৮৫ রান। নবম উইকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সর্বোচ্চ রান এটি।
টিম সাউদির বলে বোল্ড আউট হয়ে ফিরেন জোসেফ। পাঁচ চার ও দুই ছয়ে ৩১ বলে ৪৯ রান করেন তিনি।
এরপর আর বেশি দূর যেতে পারেননি কারিয়াহ। মিচেল স্যান্টনারের বলে ক্যাচ আউট হন তিনি।
ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটিতে কারিয়াহর ব্যাট থেকে আসে ৫২ রান। শেষ পর্যন্ত ১৬১ রানে থামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস।
নিউজিল্যান্ডের পক্ষে টিম সাউদি চারটি, বোল্ট তিনটি, স্যান্টনার ও গ্লেন ফিলিপস নেন একটি করে উইকেট।