লাতিন ফুটবলের অসংখ্য ভক্ত বাংলাদেশে। মেসি-নেইমারের মতো তারকাদের এ অঞ্চলের ফুটবল নাম কুড়িয়েছে বিশ্বজোড়া। সেখান থেকে রাফায়েল অগুস্তো ও রবসন রবিনিয়োর মতো ফুটবলাররা বাংলাদেশের লিগে খেলেন। এবারে ঘটছে ঠিক এর উল্টো ঘটনা।
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক খেলোয়াড় রিয়াসাত খাতন ডাক পেয়েছেন ভেনিজুয়েলার লিগে। লাতিন দেশটির দ্বিতীয় বিভাগের দল দেপোর্তিভো রায়ো জুলিয়ানো এফসিতে নাম লিখিয়েছেন জার্মানিতে বেড়ে ওঠা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই ফুটবলার।
লাতিন ফুটবলে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নিয়েছেন রিয়াসাত। দক্ষিণ আমেরিকায় পা রেখে রোমাঞ্চিত তিনি।
নিউজবাংলাকে রিয়াসাত বলেন, ‘এটা আমার জন্য অনেক স্পেশাল। আমি এর আগে কখনও লাতিন আমেরিকায় যাইনি। এটাই প্রথমবার। তাদের ফুটবল, লাইফস্টাইল নিয়ে আমার অনেক কৌতূহল ছিল। এটা আমার জীবনের অনেক রোমাঞ্চকর একটা অধ্যায় ছিল।’
ক্লাবের জার্সিতে অভিষেকও করে ফেলেছেন রিয়াসাত। টেবিলের শীর্ষে থাকা দল তিতানেসের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল টেবিলের দুইয়ে থাকা রিয়াসাতের দল রায়ো জুলিয়ানো। সেই ম্যাচে ৪-৪ গোলে ড্র করে দলটি।
মাঠে এক ম্যাচ খেললেও দলের সঙ্গে প্রায় এক মাস ধরে আছেন তিনি। চোট কাটিয়ে সুস্থ হয়ে ফিরতে সময় লেগেছে বলে জানান তিনি।
তিনি যোগ করেন, ‘গত রোববার আমি প্রথম খেলেছি। কিন্তু এক মাস ধরে আমি ক্লাবে অবস্থান করছি। ইনজুরির কারণে অপেক্ষা করতে হয়েছে এতদিন। খেলাটা শেষে এক গোল খাওয়ায় ড্র হয়েছিল। তবে ম্যাচটা আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এই ম্যাচ দিয়ে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে লাতিন আমেরিকার ফুটবলে খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছে।’
রায়ো জুলিয়ানো ক্লাবটি পরের মৌসুমে প্রিমিয়ার ডিভিশনে প্রমোশনের অপেক্ষায় রয়েছে। প্রিমিয়ার ডিভিশনে খেলার পরিকল্পনা রিয়াসাতের। তিনি বলেন, ‘ফার্স্ট ডিভিশনে ওঠার ক্ষেত্রে বেশ এগিয়ে আছে আমাদের দল। টেবিলের দুইয়ে অবস্থান করছে। ক্লাবের অধিকাংশ ফুটবলার প্রিমিয়ার ডিভিশনে খেলছে। সাউথ আমেরিকার চ্যাম্পিয়ন্সশিপেও খেলেছে। আমাদের দল শক্তিশালী। আমরা যদি ফার্স্ট ডিভিশনে খেলি আর আমি যাতে ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি বাড়াতে পারি সেই চেষ্টাই করছি।’
২০১৩ সালে প্রথমবার বাংলাদেশ জাতীয় দলে ডাক পান রিয়াসাত। পরে ২০১৫ সালে সিঙ্গাপুরের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ম্যাচের জন্য দ্বিতীয়বার ডাক পান তিনি। সেরা ফর্মে থাকার সময় দুবার জাতীয় দলে ডাক পান এ মিডফিল্ডার।জামাল ভূঁইয়াদের সঙ্গে অনুশীলনও করেন। কোচেরও পছন্দের তালিকায় ছিলেন। তার পরও ‘অদৃশ্য কারণে’ দুবারই হতাশ হয়ে ফিরতে হয় তাকে। বাংলাদেশের হয়ে খেলার স্বপ্নটা এখনও অধরা থেকে গেছে রিয়াসাতের।