ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের বিপক্ষে প্রথম চার দিনের টেস্ট ড্রয়ের পর দ্বিতীয়টিতেও ড্র করেছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। জয়ের লক্ষ্য থাকলেও বৃষ্টি আর কন্ডিশনের বাধায় ম্যাচে সফলতা আসেনি বাংলাদেশের।
প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ এ দল প্রথম ইনিংসে অলআউট হয় ১৬৭ রানে। ফিফটি করেন কেবল মিঠুন। দ্বিতীয় ম্যাচে সাইফ হাসানের ব্যাটিংয়ের কারণে বাকিদের ব্যর্থতা চোখে পড়েনি । ৩৪৮ বলে ১৪৬ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। সাইফ ছাড়া আর কোনো ব্যাটারই ফিফটির দেখা পাননি। ৯ উইকেটে ৩০০ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে দল।
দুই ম্যাচ ড্রয়ে আশানুরূপ ফল না এলেও সব মিলিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ এ দলের কোচ মিজানুর রহমান।
বিসিবির পাঠানো এক ভিডিওতে রোববার তিনি বলেন, ‘এক দেশ থেকে অন্য দেশে এলে যে ধরনের সমস্যায় পড়তে হয় আমরাও সে রকম সমস্যায় পড়েছি। উইকেটের সঙ্গে শুরুতে মানিয়ে নিতে পারিনি। পেশাদার খেলোয়াড়দের এসব মানিয়ে নিতে হয়। এ দলের এগুলো শিক্ষার বিষয়। এসব শিখে সিনিয়র টিমে খেলবে।
‘যে বাউন্সটা ছিল সেটার সঙ্গে শুরুর দিকে মানিয়ে নিতে পারিনি। আমরা আমাদের স্বাভাবিক খেলার মধ্যেই ছিলাম। যে কারণে আমরা ১৬৭ রান করেছি, কম ওভার খেলেছি। প্রথম ম্যাচে অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের মধ্যে মিথুনই ৫০ রান করতে পেরেছে।’
দুই টেস্টে মিঠুন ও সাইফ ছাড়া রান করেননি কেউই। তার পরও কোচ মিজানুর রহমান দলের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট।
তিনি বলেন, ‘এখানে এসে অল্প সময়ের মধ্যে যতটুকু উন্নতি হয়েছে তাতে আমি আশাবাদী। লংগার ভার্সনের দুটো ম্যাচে যে পারফরম্যান্স হয়েছে তাতে আমি দারুণ খুশি। ম্যাচগুলো যদি সম্পূর্ণ শেষ করা যেত, তাহলে আমার মনে হচ্ছে প্রথম ম্যাচের প্রথম ইনিংসে খারপ করলেও আমরা দ্বিতীয় ইনিংসে ঘুরে দাঁড়াতে পারতাম। যেটা আমরা দ্বিতীয় ম্যাচে করতে পেরেছি, সেটা হয়তো আমরা প্রথম ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসেই করতে পারতাম।’
ক্যারিবীয়দের তুলনায় টেস্ট ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন খেলোয়াড় বাংলাদেশ দলে ছিল বেশি। তবে মাঠের ক্রিকেটে সেই পার্থক্য খুব একটা চোখে পড়েনি।
মিজান যোগ করেন, ‘প্রথম ম্যাচের পর আমরা এ বিষয়ে খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলছি। দুই দিন অনুশীলনের সুযোগ পেয়েছি। এখানে রান করতে হলে কীভাবে করতে হবে, তা আমরা দ্বিতীয় ম্যাচে এসে বুঝতে পেরেছি। এখানে তারা দারুণ ব্যাট করেছে। ৩০০ রান করতে পেরেছে।’