এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের সময় বেশি বাকি নেই। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এই দুটি টুর্নামেন্টের আগ মুহূর্তে জাতীয় দলের গলার কাঁটা হয়ে আছে খেলোয়াড়দের ইনজুরি। এতে জর্জরিত গোটা বাংলাদেশ শিবির।
জিম্বাবুয়ে সিরিজের শুরুতে নুরুল হাসান সোহান ও মাঝপথে লিটন দাস ইনজুরির কারণে অনেকটাই অনিশ্চিত এশিয়া কাপে। ইনজুরির সমস্যা রয়েছে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও ইয়াসির আলি রাব্বির। এদিকে মুস্তাফিজুর রহমান, মুশফিকুর রহিম, শরিফুল ইসলামকেও পড়তে হয়েছিল ইনজুরির কবলে।
হুট করেই কেন টানা এমন ইনজুরি? স্বভাবতই উত্তর আসে যে টানা ব্যস্ত সূচির কারণে লম্বা সময় ধরে খেলায় ক্রিকেটারদের পড়তে হচ্ছে এই ইনজুরিতে। একইসঙ্গে চোঁটের মিছিলে ক্রিকেটারদের যোগ দেয়ার বিষয়টি চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে সবার কপালে।
ইনজুরির পর স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়ছেন লিটন। ছবি: এএফপি
সবাই চিন্তিত হলেও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মেডিক্যাল ইউনিট চিন্তিত নন ইনজুরির মিছিল নিয়ে। তাদের মতে টানা খেলার সঙ্গে খেলোয়াড়দের সাম্প্রতিক ইনজুরির কোন সম্পর্ক নেই।
একই সঙ্গে বোর্ডের দাবি ক্রিকেটারদের ব্যস্ত সূচি কোনো প্রভাব বিস্তার করছে না ইনজুরিতে।
বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী এমনটাই দাবি করেছেন। টানা খেলায় পেইস বোলারদের ইনজুরির শঙ্কা থাকলেও সেই বিষয়ে ইতোমধ্যেই পদক্ষেপ নিয়েছে বোর্ড বলেও জানান তিনি।
নিজবাংলাকে দেবাশীষ বলেন, ‘ইনজুরিটা দু রকমের। একটা হল আঘাতপ্রাপ্ত ইনজুরি। ফ্র্যাকচার হয়েছে, রান বা ফিল্ডিং করতে গিয়ে মাসল পুল হয়েছে। সেটার সঙ্গে টানা খেলার কোনো সম্পর্ক নেই। আরেকটা হল ওভার ইউজড ইনজুরি। সেটা বারবার খেলার জন্য হয়। সাম্প্রতিক সময়ে যেগুলো হয়েছে সেগুলো সবই আঘাতজনিত ইনজুরি। ওভার ইউজড নয়।’
চোট পেয়ে মাঠ ছাড়ছেন শরিফুল। ছবি: এএফপি
তিনি আরও বলেন, ‘পেইস বোলারদের কিছু সমস্যা হতে পারে। ব্যাটার ও স্পিনারদের তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই। এখন পেইস বোলারদের বোলিং ওভারলোড ম্যানেজমেন্ট করা হচ্ছে। সেটার ফলে ওভার ইউজড ইনজুরির সম্ভাবনা কমে আসবে।’
একের পর এক ক্রিকেটার যোগ দিচ্ছেন ইনজুরির মিছিলে। কিন্তু আসন্ন এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে ইনজুরির লম্বা মিছিল আর লম্বা হবে না বলে মনে করছেন বোর্ডের এই চিকিৎসক।
দেবাশীষ বলেন, ‘সামনে আমাদের বেশিরভাগই শর্টার ভার্শনের খেলা। এখানে টানা বোলিং করতে হয় না, বা টানা ব্যাটিংও করা লাগে না। যে কারণে এ ধরণের ইনজুরির সম্ভাবনা বেশ কম। টানা খেলা হলেও সম্ভাবনা কম কারণ খেলার মাঝখানে যেই গ্যাপ থাকে তাতে খেলোয়াড়দের রিকোভারি হয়ে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এশিয়া কাপও হচ্ছে শর্টার ভার্শনে, বিশ্বকাপও শর্টার ভার্শনে। সবই কিন্তু শর্টার ভার্শনের খেলা। এগুলোতে আসলে থিওরিটিক্যালি বললে ওভার ইউজড ইনজুরির সম্ভাবনা নেই।’