সময়টা একেবারেই ভাল যাচ্ছে না বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ফরম্যাট বদলেও ভাগ্যের বদল ঘটাতে পারল না লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। স্বাগতিক দলের সিকান্দার রাজার ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরিতে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও বাংলাদেশকে হারতে হয়েছে ৫ উইকেটে।
বাংলাদেশের দেয়া ২৯১ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোরের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে বড় রকমের হোঁচট খায় জিম্বাবুয়ে। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে ওপেনার টাকুডজানাওয়াশে কাইটানোকে সাজঘরে ফেরান হাসান মাহমুদ।
রানের খাতা খোলার আগে মাঠ ছাড়তে হয় ডানহাতি এই ব্যাটারকে।
নিজের দ্বিতীয় ওভারে এসে জিম্বাবুয়ের শিবিরে আবারও আঘাত হানেন হাসান। এবারে উইকেটের পেছনে মুশফিকুর রহিমের হাতে ধরা পড়ে তার দ্বিতীয় শিকার বনে মাঠ ছাড়তে হয় ইনোসেন্ট কাইয়াকে।
দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে জিম্বাবুয়ে। এই পর্যায়ে বাংলাদেশি বোলারদের সমীহ করে খেলতে থাকেন ওয়েসলি মাধেভেরে ও টাডিওয়ানাশে মারুমানি। এই জুটি শক্ত হাতে রোধ করে উইকেটের পতন।
উইকেটের পতন থামিয়ে দিলেও রানের চাকায় গতি আনতে পারছিল না স্বাগতিকরা। এমন অবস্থায় ম্যাচের অষ্টম ওভারে ব্রেক থ্রু এনে দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ১৬ বলে ২ রান করা মাধেভেরেকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে মাঠছাড়া করেন তিনি। আর ২৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে স্বাগতিকরা।
ইনিংসের পঞ্চদশ ওভারের শেষ বলে আঘাত হানেন তাইজুল ইসলাম। ৪২ বলে ২৫ করা টাডিওয়ানাশে মারুমানিকে সাজঘরের পথ দেখিয়ে পতন ঘটান রোডেশিয়ানদের চতুর্থ উইকেটের।
ডুবতে বসা জিম্বাবুয়ের হাল আরও একবার শক্ত হাতে ধরেন সিকান্দার রাজা। রেগিস চাকভবার সঙ্গে গড়েন শতরানের জুটি। অর্ধশতক হাঁকিয়ে সামাল দেন বিপর্যয়।
বাংলাদেশি বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে চলতি সিরিজে টানা দ্বিতীয় শতক তুলে নেন রাজা। সঙ্গী চাকাভবাও থেমে থাকেননি। ৭৩ বলে ঝড়ো শতক তুলে নেন জিম্বাবুয়ের এই উইকেটকিপার ব্যাটার।
এই দুই ব্যাটারের ব্যাটে ভর করে ৯ বছর পর বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের স্বাদ পায় জিম্বাবুয়ে। ১২৭ বলে ১১৭ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন রাজা।৭৫ বলে ১০২ রান করে আউট হন চাকাভবা। শেষ দিকে টনি মুনিওঙ্গা ১৬ বলে ৩০ রান করে রাজাকে যোগ্য সহায়তা দেন।