সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সিকান্দার রাজার ব্যাটে ভর করে দুর্দান্ত জয় বাগিয়ে নিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় ম্যাচে সেই সিকান্দার রাজা আবার বাংলাদেশের সামনে দাঁড়িয়ে গেছেন বাধা হয়ে। রাজা ও রেগিস চাকাভবার ব্যাটে ভর করে দলীয় স্কোর দেড় শ পার করেছে রোডেশিয়ানরা।
বাংলাদেশের দেয়া ২৯১ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোরের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে বড় রকমের হোঁচট খায় জিম্বাবুয়ে। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে ওপেনার টাকুডজানাওয়াশে কাইটানোকে সাজঘরে ফেরান হাসান মাহমুদ।
রানের খাতা খোলার আগে মাঠ ছাড়তে হয় ডান হাতি এই ব্যাটারকে।
নিজের দ্বিতীয় ওভারে এসে জিম্বাবুয়ের শিবিরে আবারও আঘাত হানেন হাসান। এবারে উইকেটের পেছনে মুশফিকুর রহিমের হাতে ধরা পড়ে তার দ্বিতীয় শিকার বনে মাঠ ছাড়তে হয় ইনোসেন্ট কাইয়াকে।
দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে জিম্বাবুয়ে। যার ফলে বাংলাদেশি বোলারদের সমীহ করে খেলতে থাকেন ওয়েসলি মাধেভেরে ও টাডিওয়ানাশে মারুমানি। শক্ত হাতে রোধ করেন উইকেটের পতন।
উইকেটের পতন থামিয়ে দিলেও রানের চাকায় গতি আনতে পারছিল না স্বাগতিকরা। এমন অবস্থায় ম্যাচের অষ্টম ওভারে ব্রেক থ্রু এনে দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ১৬ বলে ২ রান করা মাধেভেরেকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে মাঠছাড়া করেন। আর তাতেই ২৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে স্বাগতিকরা।
ইনিংসের পঞ্চদশ ওভারের শেষ বলে আঘাত হানেন তাইজুল ইসলাম। ৪২ বলে ২৫ করা টাডিওয়ানাশে মারুমানিকে সাজঘরের পথ দেখিয়ে পতন ঘটান রোডেশিয়ানদের চতুর্থ উইকেটের।
ডুবতে বসা জিম্বাবুয়ের হাল আরও একবার শক্ত হাতে ধরেন সিকান্দার রাজা। রেগিস চাকভবার সঙ্গে গড়েন শতরানের জুটি। অর্ধশতক হাঁকিয়ে সামাল দেন বিপর্যয়ের। একই সঙ্গে আরও একবার জয়ের সুবাস এনে দিতে থাকেন জিম্বাবুয়েকে।
দুইজনের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৩১ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ১৬৩ রানের পুঁজি পেয়েছে জিম্বাবুয়ে।