সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে বাংলাদেশকে ১৫৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছে জিম্বাবুয়ে। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটের খরচায় ১৫৬ রান তোলে রোডেশিয়ানরা।
সিরিজের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশি স্পিনারদের সামনে হিমশিম খেতে থাকেন জিম্বাবুয়ের ব্যাটাররা। ৬৭ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে শঙ্কা জাগে তাদের শতরানের নিচে গুটিয়ে যাওয়ার।
সেখান থেকে দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন রায়ান বার্ল। তার ঝড়ো ফিফটি ও লুক জঙ্গওয়ের ক্যামিওতে দেড় শ ছাড়ায় স্বাগতিক দল।
হারারে স্পোর্টিং ক্লাবে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকে বেশ আক্রমণাত্মক খেলতে থাকেন জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার রেগিস চাকাবভা ও ক্রেইগ আরভাইন। মারকুটে ব্যাটিংয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ৩ ওভারেই তারা তুলে নেন ২৯ রান।
চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে চাকাবভাকে ফিরিয়ে প্রথম ব্রেক থ্রু আনেন নাসুম আহমেদ। ১০ বলে ১৭ করা জিম্বাবুয়ের এই ওপেনারকে অসাধারণ এক ক্যাচে মাঠছাড়া করেন আফিফ হোসেন।
এরপর ওয়েসলি মাধেভেরেকে নিয়ে ইনিংসের চাকা সচল রাখেন দলপতি আরভাইন। কিন্তু ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে জিম্বাবুয়ের শিবিরে ধ্বস নামে। শুরুটা হয় দলীয় ৪৫ রনে মাহেদী হাসানের হাত ধরে।
ব্যক্তিগত ৫ রানে মাহেদীর বলে স্টাম্প হারিয়ে সাজঘরে ফেরেন মাধেভেরে। পরের বলে রানের খাতা খোলার আগে মাঠ ছাড়তে হয় সিকান্দার রাজাকে।
দলীয় ৫৪ রানে সিন উইলিয়ামস ফেরেন মোসাদ্দেকের শিকার বনে ২ রানে। পরের ওভারেই বিশ্রাম থেকে ফেরা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ নিজের প্রথম ওভারেই ফেরান উইকেট আগলে থাকা আরভাইনকে।
অল্পতে বিদায় নেন মিল্টন শুম্বাও। মুস্তাফিজুর রহমানের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৪ রান।
৬৭ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে দিশেহারানো জিম্বাবুয়েকে উদ্ধার করেন রায়ান বার্ল ও লুক জঙ্গয়ের। বার্লের ২৮ বলে ৫৪ রানের ও জঙ্গওয়ের ২০ বলে ৩৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে ভর করে ট্র্যাকে ফেরে স্বাগতিকরা। বার্ল ৬টি ছক্কা আর জঙ্গওয়ে ২টি ছক্কা হাঁকান।
এর মধ্যে নাসুম আহমেদের করা ১৫তম ওভারে ৫ ছক্কা ও এক চারে ৩৪ রান তোলেন বার্ল।
চার রানের ব্যবধানে ম্যাচের ১৯তম ওভারে এই দুইজনকে সাজঘরের পথ দেখিয়ে ব্রেক থ্রু আনেন হাসান মাহমুদ।
শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৮ উইকেটের খরচায় ১৫৬ রান তোলে স্বাগতিক দল।
বাংলাদেশের হয়ে হাসান মাহমুদ ও মাহেদী হাসান ২টি করে উইকেট নেন। এছাড়া মাহমুদুল্লাহ, মুস্তাফিজুর রহমান, মোসাদ্দেক ও নাসুম আহমেদ ১টি করে উইকেট নেন।