কে বলবে এই বোলারদের বিপক্ষেই সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ২০৫ রান করেছিল জিম্বাবুয়ে? প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়ের ব্যাটারদের হাতে নাকানি-চুবানি খেয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের তারা আটকে দিয়েছে ১৩৫ রানে। টি-টোয়েন্টিতে অধরা এক জয়ের জন্য বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য ১৩৬ রানের।
হারারে স্পোর্টিং ক্লাবে সিরিজের প্রথম ম্যাচে বল হাতে বাজে পারফরম্যান্সের রেশ মুছে দেয়ার মিশনটাই যেন সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ছিল টাইগারদের মূল লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে বল হাতে নেমে ম্যাচের শুরু থেকেই প্রতিপক্ষকে চেপে ধরেন মোসাদ্দেক-মাহেদীরা।
শুরুটা হয় ইনিংসের প্রথম বল থেকেই। মোসাদ্দেক হোসেনের ওয়াইড লেন্থের বল বড় শটে পরিণত করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে সোহানের হাতে ধরা দেন রেগিস চাখাবা।
সেই ওভারের শেষ বলে মাহেদী হাসানের হাতে ধরা দিয়ে মাঠ ছাড়েন ওয়েসলি মাদেভেরা। মাঠ ছাড়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৪ রান।
নিজের দ্বিতীয় ওভারে আরও একটি উইকেট তুলে নিয়ে রোডেশিয়ানদের প্রবল চাপে ফেলেন সৈকত। এবারে তার শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক ক্রেইগ আরভেইন।
পঞ্চম ওভারে আবারও বল হাতে মোসাদ্দেক। ওভারের চতুর্থ বলে ফেরান শেন উইলিয়ামসকে।
জিম্বাবুয়ের শিবিরে ম্যাচের সপ্তম ওভারে আবারও আঘাত হানেন মোসাদ্দেক। ডানহাতি এই স্পিনারের বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে হাসান মাহমুদের হাতে ধরা দেন মিল্টন শুম্বা। আর তাতেই ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং ফিগারের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৫ উইকেটের কোটা পূর্ণ হয় সৈকতের।
উইকেটের একপ্রান্ত আগলে ধরে লরাই চালিয়ে যেতে থাকেন সিকান্দার রাজা। রায়ান বার্লকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাক টু ব্যাক অর্ধশতক বাগিয়ে নিয়ে বিপর্যয় এড়িয়ে দলের স্কোর শতক পার করান রোডেশিয়ান এই ব্যাটার।
দুই ব্যাটারের অবিচ্ছেদ্য ৮০ রানের জুটি ভেঙে ব্রেক থ্রু আনেন হাসান মাহমুদ। রায়ার্ন বার্লকে ২১ রানে সাজঘরের পথ দেখিয়ে পতন ঘটান ষষ্ঠ উইকেটের। পরের ওভারেই রানের তুবড়ি ছোটানো সিকন্দার রাজাকে ৬২ রানে প্যাভিলিয়নের পথ দেখিয়ে দেন মুস্তাফিজুর রহমান।
শেষ দিকে লুক জঙ্গয়ের ৫ বলে ১১ রানের ইনিংস ছাড়া তেমন কোনো কার্যকরী ইনিংস খেলা সম্ভব হয়নি জিম্বাবুয়ের আর কোনো ব্যাটারের পক্ষে। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রানের পুঁজি পায় জিম্বাবুয়ে।
সফরকারীদের হয়ে ৫ উইকেট নেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। একটি করে উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান ও হাসান মাহমুদ।