ইউরোপীয়ান ফুটবলে গত মৌসুমে ব্রাজিলিয়ান তরুণ খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে বেশ সন্তুষ্ট কোচ তিতে। চলতি বছরের নভেম্বরে কাতার বিশ্বকাপে এই তরুণরাই ব্রাজিলকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে মনে করেন ব্রাজিলিয়ান কোচ।
বর্তমানে বিভিন্ন ক্লাবে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ব্রাজিলের তরুণ ফুটবলারদের অন্যতম হলেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র, রদ্রিগো, রাফিনহো, রিচারলিসন, ব্রুনো গুইমারায়েস, এন্টনি ও ম্যাথেয়াস কুনহা। ইতোমধ্যেই এলিট খেলোয়াড়দের তালিকায় তারা অন্তর্ভূক্তও হয়েছেন। আর এ কারণে তিতে বিশ্বাস করেন দলে তরুণ তুর্কিদের অন্তর্ভুক্তি বিশ্বকাপে নেইমারের উপর থেকে চাপ অনেকটাই কমিয়ে দেবে।
পুরো ক্যারিয়ার জুড়ে নেইমার যেভাবে ব্রাজিলকে টেনে নিয়ে যাবার চাপের মধ্যে ছিলেন, তার থেকে অনেকটাই রেহাই পেতে পারেন এবারের বিশ্বকাপে।
স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ব্রাজিলের কোচ বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি জাতীয় দলে এই তরুনদের আগমন মাঠ ও মাঠের বাইরে নেইমারের জন্য ভালোই হবে। একদিন নেইমার আমার দিকে তাকিয়ে হেসে বলেছিল- কোচ এই ছোট ছোট খেলোয়াড়রা জাতীয় দলে আসছে, এরা তো সবাই এখনো বাচ্চাদের মতো। মাঠে তাদের নিয়ে সবাইকে বাড়তি টেনশনে থাকতে হবে।
‘আসলে নেইমার অনেকটা স্বস্তির থেকেই এসব কথা বলেছিল। তরুণদের মধ্যে যদি সর্বোচ্চ পর্যায়ের প্রতিভা ও সামর্থ্য থাকে তবে সেটা যেকোন দলেরই কাজ সহজ করে দেয়। এখন প্রতিপক্ষ দলগুলোকে আমাদের সামলানোর কৌশলে ব্যস্ত থাকতে হবে।’
তরুণদের ভূমিকায় চাপ কমলে নেইমারকে কেন্দ্রীয় ভূমিকায় বেশি কার্যকর করা যাবে বলেও মনে করেন ব্রাজিল দলের প্রধান কোচ। ফলে ব্রাজিলের তরুণরা পরিস্থিতির সাথে চাপ সামলে উঠার পথ খুঁজে পাবে।
তিতে বলেন, ‘আরও বেশি সৃষ্টিশীল ভূমিকায় নেইমার নিজেকে উন্নত করেছে। স্বাভাবিক ভাবেই বয়সের সাথে তার অভিজ্ঞতাও এখন অনেক বেশি। এখানকার ফুটবল বেশ দ্রুতগতির এবং নিরলস পরিশ্রমের একটি খেলা। এমন অনেক প্রতিদ্বন্দ্বীর মোকাবেলা আমাদের করতে হবে যারা রক্ষনভাগে পাঁচজন নিয়ে মাঠে নামবে। এই মুহূর্তে আমরা যেভাবে পরিকল্পনা সাজিয়েছি তাতে নেইমারের সাথে অন্যদের ভূমিকাও দলে সমান গুরুত্বপূর্ণ।’