২০১৯ সালে প্রথমবার আফ্রিকার বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার জেতেন সেনেগালের তারকা সাদিও মানে। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে গেল দুই বছর দেয়া হয়নি এ পুরস্কার। সে হিসাবে সাদিও মানে টানা দ্বিতীয়বার জিতলেন আফ্রিকার বর্ষসেরা ফুটবলারের খেতাব।
বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে প্রাক মৌসুম সফরে মঙ্গলবার ডিসি ইউনাইটেডের বিপক্ষে ৬-২ গোলের জয়ে নিজেও গোল পান মানে। এরপর ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে পুরস্কারটি নিতে যান মরক্কোর রাজধানী রাবাতে।
আফ্রিকার বর্ষসেরা এ পুরস্কারের জন্য সাদিও মানের সঙ্গে মনোনীত হয়েছিলেন আরও দুই প্রতিদ্বন্দ্বী। তারা হলেন মোহামেদ সালাহ এবং সেনেগাল ও চেলসির গোলকিপার এডুয়ার্ডো মেন্ডি।
লিভারপুলের সাবেক সতীর্থ সালাহ ও নিজ দেশের মেন্ডিকে পেছনে ফেলে পুরস্কারটি জিতে নেন সাদিও মানে।
গত ফেব্রুয়ারিতে মিসরের বিপক্ষে পেনাল্টি শ্যুট আউটে জয় পায় সেনেগাল। প্রথমবারের মতো আফ্রিকান কাপ অফ নেশনস জিততে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন ৩০ বছর বয়সী এ তারকা।
এর মাস দেড়েক পর বাছাইপর্বে আবারও মিসরের বিপক্ষে পেনাল্টি থেকে জয় পায় সাদিও মানের দল। মানের করা গোলে ভর করেই কাতার বিশ্বকাপের টিকিট পায় সেনেগাল।
সাবেক ক্লাব লিভারপুলের হয়ে গেল মৌসুমটি দারুণ কাটিয়েছেন সাদিও মানে। প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটির হয়ে জিতেছেন এফএ কাপ এবং ইংলিশ কাপ। এ ছাড়া অলরেডদের হয়ে ইংল্যান্ডের শীর্ষ লিগ এবং চ্যাম্পিয়নস লিগে রানারআপ হয়েছেন এ তারকা।
গেল মৌসুমে লিভারপুলের দারুণ পারফরম্যান্সের পেছনে মূল কারিগর ছিলেন সালাহ-মানে জুটি। তবে মানে অলরেডদের ছেড়ে বায়ার্নে যোগ দিলে অনেকেই মনে করেন, তাদের আগের সে সম্পর্ক নেই।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার সালাহর সঙ্গে নিজের সম্পর্কের বিষয়টিও পরিষ্কার করেছেন মানে।
তিনি বলেন, ‘অনেকেই ভাবেন সালাহর সঙ্গে আমার প্রতিদ্বন্দ্বিতা আছে। সত্যি বলতে কোনো খেলোয়াড়ের সঙ্গে আমার প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই। সালাহর সঙ্গে আমার দারুণ সম্পর্ক।
‘সময় পেলে তার সঙ্গে আমার যোগাযোগ হয়। আমার মনে হয় সংবাদমাধ্যম বিষয়টি নিয়ে বাড়িয়ে বলে। তা ছাড়া সবার সঙ্গেই আমার ভালো সম্পর্ক।’