চলতি বছর খুব বেশি সময় বিশ্রামের সুযোগ পাননি জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। টানা সিরিজের ভেতরেই আছেন তারা। সদ্য শেষ হওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ শেষ করে দেশে ফিরেই মাত্র চার দিনের বিশ্রামের পর তাদের প্রস্তুতি নিতে হবে জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য।
২৬ জুলাই জিম্বাবুয়ের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়ছে জাতীয় দল। আবার সেখান থেকে ফিরেই প্রস্তুতি নেয়া লাগবে এশিয়া কাপের। এরপর আছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বছরের শেষটা হবে ভারত সফর দিয়ে।
চলতি বছরের মতোই আইসিসির ২০২৩-২৭ চক্রে ব্যস্ত সময় পার করতে হবে টাইগারদের। এই চক্রে ৫৯ ওয়ানডের পাশাপাশি বাংলাদেশ খেলবে ৩৪টি টেস্ট ও ৫১টি টি-টোয়েন্টি। সব মিলিয়ে আগামী ৪ বছর বাংলাদেশ খেলতে হবে মোট ১৪৪টি ম্যাচ।
স্পষ্টতই দেখা যাচ্ছে ৪ বছর কতোটা ব্যস্ত সময় কাটাতে হবে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের।
আইসিসির চক্রে ব্যস্ত সূচি পার করলেও টানা ম্যাচ খেলার অভ্যাস গড়ে উঠেনি বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের। ইনজুরিসহ নানা সমস্যার কথা বিবেচনায় রাখতে হচ্ছে তাই।
কয়েক বছর ধরে ইনজুরি প্রবণতা এড়াতে বড় দলগুলো তিন ফরম্যাটের ভিন্ন দল গঠনের বিষয়ে জোর দিচ্ছে। ব্যস্ত সুচিতে খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দেয়ার লক্ষ্যে কম গুরত্বপূর্ণ সিরিজগুলোতে সাইডবেঞ্চের খেলোয়াড়দের সুযোগ দিয়ে দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের বিশ্রামে পাঠানোর ফর্মুলা অনুসরণ করছে বড় দলগুলো।
তাদের দেখানো পথে এবারে হাঁটতে যাচ্ছে বিসিবি। ব্যস্ত সূচিতে সিনিয়রদের ছুটি দিয়ে জুনিয়রদের সুযোগ দেয়ার কথা ভাবছে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন।
তিনি বলেন, ‘শুধু ক্রিকেটাররা না, টিম ম্যানেজমেন্টে যারা আছেন তারাও ব্যস্ততম সময় পার করবেন। যখন আমাদের এফটিপিটা চূড়ান্ত হবে আমরা বসে পরিকল্পনা করে, সবার অ্যাবিবিলিটি আলোচনা করে পরিকল্পনা করে নিতে হবে। এটার পরিকল্পনা প্রয়োজন, শিডিউল থাকতে হবে, কে কোথায় অংশগ্রহণ করবে, কে কোথায় পারবে না।’