মোসাদ্দেক সৈকত ও আফিফ হোসেনের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের ওয়ানডে ম্যাচগুলো ছিল লিটমাস টেস্ট। প্রায় ৬ বছর আগে আন্তর্জাতিক অভিষেক মোসাদ্দেকের আর আফিফের অভিষেক ৫ বছর আগে। এতগুলো বছরেও নিজেদের জায়গা জাতীয় দলে পাকা করতে পারেননি তারা। ওয়ানডে সিরিজে রানে ফিরবেন এমনটা প্রত্যাশা ছিল দলের।
কিন্তু সে প্রত্যাশার জবাব দিতে পারেননি এ দুই ব্যাটার। ৩ ম্যাচ খেলে আফিফ রান করেছেন ৬ আর মোসাদ্দেক দুই ম্যাচ খেলে রান করেছেন ১৪।
ম্যাচশেষে এই দুজনের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কার কথাই জানালেন তামিম ইকবাল। বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়কের মতে, একজন খেলোয়াড় বারবার সুযোগ পাবেন না।
তামিম বলেন, ‘আমি নিশ্চিত তারা (আফিফ ও মোসাদ্দেক) চেষ্টা করেছে। কিন্তু এমন সুযোগ সব সময় আসে না। আমি সব সময় একটা কথা বলি যে, কিছু খেলোয়াড় হয়তো ৫-৬টা সুযোগ পাবে আবার কিছু খেলোয়াড় হয়তো ২টা সুযোগ পাবে। সবাইকে সমান সুযোগ দিতে পারবেন না। তাই ঐ ২টা সুযোগ যখন কেউ পায় তখন তাদের উচিত সেটা কাজে লাগানো।’
এই সিরিজে বাংলাদেশের মিডল অর্ডারে দুই বড় নাম সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের অনুপস্থিতি ছিল। সাকিব ওয়ানডে সিরিজ খেলেননি আর মুশফিক পুরো সিরিজ থেকে ছুটি নিয়েছিলেন। তামিমের আশা ছিল, এ দুই বড় তারকার অনুপস্থিতিতে আফিফ-মোসাদ্দেক জ্বলে উঠবেন।
তেমনটা না হওয়ায় কিছুটা আক্ষেপের সুরের তামিম বলেন, ‘আমি খুবই খুশি হতাম যদি মোসাদ্দেক বা আফিফ খেলাটা শেষ করে আসত। আমি আগেও একটা কথা বলেছি যে, সাকিব ও মুশফিক যখন ফিরবে তখন দল থেকে দুজনকে বের হয়ে যেতে হবে। সোহানের উদাহরণটা যদি দেখেন তাহলে সে তার জায়গা মোটামুটি পাকা করে ফেলেছে। তাই আমার কাছে মনে হয় যখন সুযোগ আসে তখন সেটাকে যতটুকু কাজে লাগানো সম্ভব সেটার চেষ্টা করা উচিত।’
জুলাইয়ের শেষেই জিম্বাবুয়ে সফর। সে সিরিজেও দলের দু-একজন সিনিয়র খেলোয়াড় থাকবেন না বাংলাদেশ দলে। আফিফ ও মোসাদ্দেকের জন্য হয়তো সেটাই হতে যাচ্ছে শেষ সুযোগ।