টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে শোচনীয় হারের পর নিজেদের প্রিয় ফরম্যাটে এসে ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে দাড়াল বাংলাদেশ। যে ক্রিকেটাররা রীতিমত হাঁসফাঁস করছিলেন টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে, ভোজবাজির মত করে বদলে গেলেন ওয়ানডে সিরিজে এসে।
ব্যাটার ও বোলারদের যৌথ পারফরম্যান্সে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতেও জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ক্যারিবীয়দের দেয়া ১৭৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেট ও ৯ বল অক্ষত রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় টাইগাররা।
এই জয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টানা ১১ ম্যাচ অপরাজিত রইল বাংলাদেশ। একই সঙ্গে পেল ক্যারিবীয়দের ক্লিন সুইপের স্বাদ।
আগের দুই ম্যাচে স্বাগতিকদের দেড় শ রানের নিচে আটকে দিতে পারলেও শেষ ম্যাচে এসে লড়াই জমিয়ে দেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্যারিবীয়দের করা ১৭৮ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মন্থর গতির ছিল বাংলাদেশের। নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে শুরুটা দেখেশুনে করেন তামিম ইকবাল।
উইকেটের এক প্রান্তে তামিম গতিময় ক্রিকেট খেলার প্রচেষ্টায় থাকলেও শান্ত যেন ভুলে গিয়েছিলেন ওয়ানডেতে ওপেন করেছেন তিনি। ব্যাট করতে করতে ফিরে যান সাদা পোশাকের পারফরম্যান্সে।
১৩ বলে এক রান করে আলজারি জোসেফের শিকার বনে সাজঘরের পথ ধরতে হয় তাকে দলীয় ২০ রানে।
শান্তর বিদায়ে দলের স্কোরে খুব একটা প্রভাব ফেলতে দেননি লিটন দাস ও তামিম। ৫০ রানের জুটি গড়ে দলকে নিয়ে যান সুবিধাজনক অবস্থানে। দলীয় ৭০ রানে তামিম বিদায় নিলেও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন লিটন দাস। ব্যক্তিগত অর্ধশতক তুলে নিয়ে গুডাকেশ মোতির শিকার হাতে ধরা দিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।
দুই বল খেলে রানের খাতা খোলার আগে ফিরতে হয় আফিফ হোসেনকে।
এরপর মোসাদ্দেক সৈকতের সঙ্গে জুটি গড়ে পরিস্থিতি সামালের মিশনে নামেন রিয়াদ। সৈকতকে নিয়ে বেশিদূর যাওয়া সম্ভব হয়নি রিয়াদের পক্ষে। ১৪ রানে সাজঘরে ফিরতে হয় সৈকতকে।
নতুন করে নুরুল হাসান সোহানের সঙ্গে জুটি গড়েন মাহমুদউল্লাহ। ২৬ রানে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলপতিকে থামিয়ে দেন উইন্ডিজ দলপতি নিকোলাস পুরান। এতে করে ১৪৭ রানে ষষ্ঠ উইকেটের পতন ঘটে।
শেষদিকে রান আর বলের পার্থক্য নেমে আসে ১৫ তে। একই সাথে শঙ্কা জাগে পরাজয়ের।
পরাজয়ের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে ব্যাট চালিয়ে যান সোহান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। দলকে এনে দেন ৪ উইকেটের স্বস্তির এক জয়।