বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নকল আইপিএলে টাকা লাগিয়ে ৪ হাজার ডলার গচ্চা

  •    
  • ১২ জুলাই, ২০২২ ২০:০২

গুজরাটে হুবহু আইপিএলের মতো করে টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছে একটি চক্র। আর এর মাধ্যমে রাশিয়ান জুয়াড়িদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে ৪ হাজার ডলার।

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের আসর আর জুয়াড়ি যেন মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। টুর্নামেন্ট শুরু হলেই বিশ্বের জুয়াড়িদের তৎপরতা বেড়ে যায়। সে সঙ্গে ঘটে নানা প্রতারণাও।

ভারতের জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) চলতি বছরের আসরের পর্দা নেমেছে প্রায় দুই মাস হতে যাচ্ছে। আসরের সমাপ্তি ঘটলেও আইপিএলকে ঘিরে থেমে নেই প্রতারণা। জুয়াড়িরা নিত্যনতুন পন্থা অবলম্বন করে জাল বিছাচ্ছে প্রতারণার।

তারই অংশ হিসেবে এবার গুজরাটে হুবহু আইপিএলের মতো করে টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছে একটি চক্র। আর এর মাধ্যমে রাশিয়ান জুয়াড়িদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে ৪ হাজার ডলার।

চক্রটি নিখুঁতভাবে আয়জন করেছে টুর্নামেন্টের সব কার্যক্রম। একদম আইপিএলের আসল জার্সি থেকে শুরু করে ধারাভাষ্য, আম্পায়ার ও দর্শকদের ব্যবস্থা করে ইউটিউবে ম্যাচ সম্প্রচার করত চক্রটি। কিন্তু সবকিছুই ছিল ভুয়া। সেই চ্যানেলটির নাম ছিল আইপিএল।

এ ঘটনায় ইতোমধ্যে তিনজনকে আটক করেছে গুজরাট পুলিশ।

আটককৃতদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, ম্যাচে যারা খেলতে নামতেন, সবাই স্থানীয় কৃষক। দৈনিক ৪০০ রুপির বিনিময়ে তারা এই খেলার অভিনয় করতেন।

টুর্নামেন্টের নাম দেয়া হয় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ।

জানা যায়, টুর্নামেন্টের সম্প্রচারে শক্তিশালী ক্যামেরা ব্যবহার করত প্রতারক চক্র। একইসঙ্গে লং শটে গ্রাফিক্স করে বসানো হত দর্শকদের। আর ক্লোজ শটে খুব দক্ষতার সঙ্গে দেখানো হত ভাড়া করা দর্শকদের।

একইসঙ্গে আইপিএলের ধারাভাষ্য ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করে সেটি ব্যবহার করা হত সম্প্রচারের সময়। এমনকি দর্শকদের মাঠে থাকাকালীন শোরগোলও ডাউনলোড করে হুবহু সেটি ব্যবহার করত প্রতারকরা।

গুজরাটের দুই যুবক শোয়াব দাবদা ও আসিফ মিলে পরিকল্পনা করেন এই প্রতারণার। রাশিয়ার একটি পানশালায় কাজ করা শোয়েব স্থানীয় জুয়াড়িদের বুঝান আইপিএলের বিষয়টি। তাদের রাজি করানোর পর তিনি যোগাযোগ করেন জুয়ার একটি ওয়েবসাইটের সঙ্গে।

তারা প্রতারণার বিষয়টি না বুঝেই রাজি হন টুর্নামেন্টটি তাদের সাইটে অন্তর্ভুক্ত করতে ও ম্যাচে বাজি ধরতে।

এই নকল টুর্নামেন্টে রাশিয়ার বিভিন্ন শহর থেকেও টাকা লাগানো হত। স্থানীয় একটি জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপের মাধ্যমে চলত জুয়ার সব কার্যক্রম।

কিন্তু বিষয়টি নজরে আসে গুজরাট পুলিশের। দুই সপ্তাহ ধরে এমন ঘটনা চলার পর চক্রের হোতাকে খুঁজে পায় স্থানীয় পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় আসিফসহ আরও দুজনকে।

এ বিভাগের আরো খবর