টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দুই ফরম্যাটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ হেরে কোণঠাসা হয়ে পড়ে বাংলাদেশ। অবশেষে পছন্দের ফরম্যাট ওয়ানডেতে নিজেদের প্রথম ম্যাচ জিতে কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। হারের বৃত্ত ভেঙে টাইগাররা ফিরেছেন জয়ে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।
২০০৬ সালে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে সাকিব-মুশফিক দুজনেরই একসঙ্গে অভিষেক হয়। এরপর থেকে প্রতিটি ওয়ানডেতেই সাকিব-মুশফিকের মধ্যে অন্তত একজন দলে ছিলেনই। ১৬ বছর পর সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নেই সাকিব-মুশফিক কেউই।
সাকিব আল হাসান দলে থাকা মানে একসঙ্গে দুজনকে পাওয়া। একজন ব্যাটার ও একজন বোলারের দায়িত্ব পালন করেন তিনি একাই। এবার ব্যক্তিগত কারণে দলের বাইরে আছেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার।
'সাকিবের অনুপস্থিতিতে একজন অতিরিক্ত ব্যাটার নাকি বোলার'- এমন প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল জানান, অতিরিক্ত ব্যাটারের চেয়ে পাঁচজন বোলার নিয়ে দল সাজানোর পক্ষে তিনি।
এ বিষয়ে রোববার খেলা শেষে সাংবাদিকদের তামিম ইকবাল বলেন, 'আমরা একজন অতিরিক্ত ব্যাটসম্যান না একজন অতিরিক্ত বোলার খেলাব তা নিয়ে অনেক বিতর্ক ছিল। আমরা যদি একজন বাড়তি ব্যাটসম্যান খেলাতাম, তাহলে এটা নিরাপদ হতো। কিন্তু আপনাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সুযোগ নিতে হবে। আমার কাছে মনে হয়, ওডিআই ফরম্যাটে, পাঁচজন সঠিক বোলার থাকতে হবে এবং এ ক্ষেত্রে আমি আশা করি, সব ব্যাটসম্যান দায়িত্ব নিয়ে খেলবে।
'আজ এটি সম্পূর্ণ ভিন্ন জিনিস হতে পারত যদি আমরা হেরে যেতাম। তখন আপনি আমাকে জিজ্ঞাসা করতেন, কেন আমরা একজন কম ব্যাটসম্যান নিয়ে খেললাম। কিন্তু সব ঠিকঠাক ছিল বলে এই বিষয়ে কথা হচ্ছে না।'
শান্তর উচিত ছিল আরও দায়িত্ব নিয়ে খেলা শেষ করার। ৫০ বলে ৩৭ রান করে শান্ত ক্রিজে সেট হয়ে যাওয়ায়, খেলা শেষ করে মাঠ ছাড়া উচিত ছিল বলে মনে করেন তামিম ইকবাল।
এ প্রসঙ্গে তামিম বলেন, 'যখন ছয়জন ব্যাটসম্যান থাকে, তখন কেউ একজন সেট হয়ে যায়, তাকেই তখন চালিয়ে যেতে হবে। শান্তর আজ খেলা শেষ করার একটি দুর্দান্ত সুযোগ ছিল। আমি মনে করি, সে নিজেও খুব হতাশ, কারণ এই ধরনের সুযোগ সব সময় আসবে না।
'যখন সাকিব, মুশফিক এবং ইয়াসিররা ফিরে আসবে। তাই যখনই কোনো সুযোগ আসে, দুই হাতে ধরতে হবে এবং কাজে লাগাতে হবে।'