প্রতিপক্ষের ডানহাতি ব্যাটার স্ট্রাইকে থাকলে আনা যাবে না ডানহাতি বোলার। বাঁহাতি ব্যাটারের সময় আনা যাবে না বাঁহাতি বোলার। বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে চালু আছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির কথাই ধরা যাক। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত এক ওভার মেইডেন উইকেট নেয়ার পরও খেলার বাকিটা সময় তাকে বল দেননি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।যুক্তি হিসেবে ম্যাচ শেষে রিয়াদ বলেছিলেন, ডানহাতি ব্যাটার উইকেটে থাকায় সৈকতকে বল দেয়া হয়নি।
একই দৃশ্য সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে। বল হাতে নিজের প্রথম ওভারেই উইকেট তুলে নিলেও সাকিবকে দীর্ঘসময় বোলিংয়ে আনা হয়নি। উইন্ডিজের ইনিংসের শেষ দিকে যখন সাকিব বোলিংয়ে আসেন, তখন বাংলাদেশের ম্যাচ থেকে ছিটকে যাওয়াটা ছিল সুনিশ্চিত।
কেন এ রীতি অনুসরণ করা হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে, সে প্রশ্ন করা হয়েছিল লিটন দাসের কাছে। প্রশ্নের উত্তরে লিটন বল ঠেলে দেন মাহমুদউল্লাহর কোর্টে। তিনি জানান, মাঠের সব সিদ্ধান্ত অধিনায়কের।
লিটন বলেন, ‘আমার মনে হয় মাঠে যদি পরিকল্পনাগুলো কাজে লাগানো যেত, তাহলে এ প্রশ্নগুলো আসত না। আর সম্পূর্ণ মাঠ চালায় অধিনায়ক। অধিনায়ক যে সিদ্ধান্ত দেবে, আমাদের প্রত্যেক খেলোয়াড়েরই তা পালন করা উচিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেক সময় ডানহাতি ব্যাটসম্যানকে যদি ডানহাতি বোলারও বল করে, সমস্যা হয় না, তবে সিদ্ধান্তটা সম্পূর্ণ অধিনায়কের।
‘মাঠ তো আমি চালাব না বা আর ১০টা খেলোয়াড় চালাবে না। আমাদের উচিত উনার (অধিনাকের) যে সিদ্ধান্ত, সে অনুযায়ী কাজ করা।’
হারের কারণ হিসেবে ব্যাটারদের ব্যর্থতার পাশাপাশি বোলারদেরও দুষছেন জাতীয় দলের এ ওপেনার। পরিকল্পনামাফিক বোলিং করলে ফলটা অন্যরকম হতো বলে মনে করছেন জাতীয় দলের এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।
লিটন বলেন, ‘আমরা খুব একটা ভালো ব্যাটিং করিনি। প্রথম ম্যাচে করিনি, দ্বিতীয় ম্যাচেও মনে হয় না সাকিব ভাই ছাড়া আমরা কেউ খুব ভালো ব্যাটিং করেছি। উইকেট ব্যাটিং সহায়ক ছিল। আমরা ওপরের দিকের ব্যাটসম্যানরা যদি দায়িত্বটা আরও ভালোভাবে পালন করতে পারতাম, তাহলে হয়তো পরের দিকের ব্যাটসম্যানরা আরও খুলে খেলতে পারত।’
তিনি আরও বলেন, ‘বোলারদের পরিকল্পনা কাজে লাগানোতে সমস্যা ছিল। সেটা যদি আজ (গতকাল) ভালো হতো, তাহলে হয়তো ফলাফল আমাদের পক্ষে আসত। সব বোলার হয়তো পরিকল্পনা কাজে লাগাতে পারেনি।’