বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাকিবের দারুণ লড়াইয়ের পরও হারল বাংলাদেশ

  •    
  • ৪ জুলাই, ২০২২ ০৩:৩২

প্রথম ম্যাচ গিয়েছে বৃষ্টির পেটে। আর সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে সফরকারীদের হারতে হয়েছে ৩৫ রানে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেয়া ১৯৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রানেই আটকে যায় বাংলাদেশের ইনিংসের চাকা।

ফরম্যাট বদলায়, সময় বদলায়, বদলায় ভেন্যু। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ভাগ্যটারই যেন কোনো বদল নেই। হারকে যেন নিত্যসঙ্গী করে নিয়েছে বাংলাদেশ দল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ হারের পর এবারে হার দিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করল লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।

যেমন পারফরম্যান্স টেস্টে, ঠিক তেমনই টি-টোয়েন্টিতে। ক্রিকেটের লঙ্গার আর শর্টার ভার্শনটা যেন বাংলাদেশের জন্য নয়। কেননা এই দুই ফরম্যাটে বাংলাদেশের যে দৈন্যদশা, সেটি দেখে অবলীলায় বলে দেয়া সম্ভব এই দুই ফরম্যাট লড়াইয়ের মতো অবস্থানে এখনও পৌঁছায়নি তারা।

সবশেষ ১০ টি-টোয়েন্টি ম্যাচের ভেতর কেবলমাত্র একটিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ব্যর্থতার সেই ধারা অব্যাহত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের শুরু থেকেই।

প্রথম ম্যাচ গিয়েছে বৃষ্টির পেটে। আর সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে সফরকারীদের হারতে হয়েছে ৩৫ রানে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেয়া ১৯৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রানেই আটকে যায় বাংলাদেশের ইনিংসের চাকা।

ডমিনিকায় টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বাংলাদেশের বোলারদের ওপর চড়াও হন কাইল মায়ার্স। ক্যারিবীয় এই ওপেনারের মারকুটে ব্যাটিংয়ে প্রথম ওভারেই ১৪ রান তোলে স্বাগতিকরা।

তবে দ্বিতীয় ওভারেই সেই ঝড়ে থামান মাহেদী হাসান। ওভারের পঞ্চম বলে সরাসরি বোল্ড করে সাজঘরের পথ দেখিয়ে দেন মায়ার্সকে।

এক ওভার বাদেই উইন্ডিজ শিবিরে দ্বিতীয় আঘাত হানেন সাকিব আল হাসান। ওভারের দ্বিতীয় বলে মাহমুদউল্লাহর তালুবন্দি করে রানের খাতা খোলার আগেই মাঠ ছাড়া করেন শামারহ ব্রুকসকে।

কিন্তু সুখ বাংলাদেশের কপালে বেশিক্ষণ সয় না, সেটির প্রমাণ মিলল খানিক বাদেই। অধিনায়ক নিকোলাস পুরান ও রভম্যান পাওয়েলের মারকুটে ব্যাটিংয়ে। পাওয়েলের ২৮ বলে ৬১ ও পুরানের ৩০ বলে ৩৪ রানের সুবাদে বাংলাদেশের জয়ের সমাধি রচিত হয়।

শেষদিকে ওডেন স্মিথের ৪ বলে ১১ রানের ইনিংসের সুবাদে ৫ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৯৩ রান তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

বাংলাদেশের হয়ে দুটি উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম। একটি করে উইকেট যায় মাহেদী হাসান, সাকিব আল হাসান ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ঝুলিতে।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই নিজের চিরাচরিত রূপ দেখা যায় টাইগার শিবিরে। হারের পাশাপাশি ছায়ার মত পিছু নেয়া ব্যাটিং বিপর্যয় এড়ানো যায়নি এই ম্যাচেও। দলীয় ৮ রানেই বিদায় নেন দুই ওপেনার। আর দলীয় ২৩ রানে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সাজঘরে ফেরার মধ্য দিয়ে পতন ঘটে বাংলাদেশের তৃতীয় উইকেটের।

এমন বিপদ থেকে দলকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসেন সাকিব আল হাসান। একাই চালিয়ে যান লড়াই। কিন্তু উইকেটের অপরপ্রান্ত থেকে তেমন সাপোর্ট না মেলায় ব্যর্থ হয় তার সকল প্রচেষ্টাই।

শুধুমাত্র আফিফ হোসেনের ২৭ বলে ৩৪ রানের ইনিংস ছাড়া দলের বাকিদের কাছ থেকে আর কোনো সাড়াই পাননি সাকিব। যার ফলে ম্যাচ শেষে ৫২ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকলেও দলকে এনে দেয়া সম্ভব হয়নি কাঙ্খিত জয়।

তিন ম্যাচের সিরিজ ইতোমধ্যে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি হবে ৭ জুলাই।

এ বিভাগের আরো খবর