২০২২ সালে ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়কত্ব নিয়ে চলছে মিউজিক্যাল চেয়ার। ১৫ জানুয়ারি সাউথ আফ্রিকা সফর শেষে টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব ছাড়েন ভিরাট কোহলি। এরপরের ৬ মাসে সব ফরম্যাট মিলিয়ে ভারতের অধিনায়কের দায়িত্বে দেখা গেছে ৬ জন আলাদা স্কিপারকে।
সাউথ আফ্রিকা সফরে দলের ওয়ানডে অধিনায়কত্ব বর্তেছিল রোহিত শর্মার কাঁধে। কিন্তু চোট পেয়ে মাঠের বাইরে ছিটকে গেলে অধিনায়কের দায়িত্ব পান কেএল রাহুল। এরপর শ্রীলঙ্কা সফরে নিজের ক্যাপ্টেন্সি ফিরে পান রোহিত।
উইন্ডিজের ভারত সফরে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজেও দলের দায়িত্বে ছিলেন এ অভিজ্ঞ ওপেনার।
সাউথ আফ্রিকার ভারত সফরের সময় রোহিত বিশ্রামে থাকায় অধিনায়কের দায়িত্ব আবার ফিরিয়ে দেয়া হয় রাহুলকে। কিন্তু এবার অধিনায়কত্ব করা হয়নি তার। কুঁচকির চোটের কারণে দলের বাইরে চলে যান তিনি। টি-টোয়েন্টি সিরিজে দলকে নেতৃত্ব দেয়ার ভার পড়ে রিশাভ পান্টের কাঁধে।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ ম্যাচ সিরিজের শেষ টেস্ট খেলার জন্য এরপর যুক্তরাজ্যে যায় কোহলি-পুজারারা। সেখানে টেস্ট দলের প্রস্তুতির পাশাপাশি আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলে টিম ইন্ডিয়া।
ওই সিরিজে ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দেন হার্দিক পান্ডিয়া।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে রোহিত শর্মার অধিনায়কত্ব ফিরে পাওয়ার কথা ছিল। কিন্ত খেলা শুরুর আগে আগে শনিবার কোভিড পজিটিভ হলে তিনি ছিটকে যান ম্যাচ থেকে। দলের অধিনায়কত্ব দেয়া হয় পেইসার জাসপ্রিত বুমরাহকে।
দলে সিনিয়র খেলোয়াড় কোহলি ও চেতেশ্বর পুজারা ছিলেন। কিন্তু তারা অধিনায়কত্বে আগ্রহী নন দেখে বুমরাহর কাঁধে দায়িত্ব চাপে। যে কারণে বার্মিংহামে শুক্রবার বেন স্টোকসের সঙ্গে টস করতে নামেন ২৯ টেস্ট খেলা এ পেইসার।
এতে করে ২০২২ সালে এখন পর্যন্ত ৬ জন অধিনায়ক দেখল ভারতীয় ক্রিকেট দল। এমনটা এর আগে ১৯৫৯ সালে দেখেছিল ভারত।
ওই বছরে ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দেয়া ৬ জন ছিলেন গুলাম আহমেদ, ডিকে গায়কোয়াড়, গুলাবরাই রামচন্দ, হেমচন্দ্র অধিকারী, ভিনু মানকড ও পঙ্কজ রায়।