ক্রিকেটের বনেদি ফরম্যাটে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশের যাত্রা শুরু ২০০০ সালে। সেই থেকে হাঁটি হাঁটি পা পা করে বাংলাদেশ কাটিয়ে দিয়েছে ২২টি বছর। এই দীর্ঘ সময়ে বাংলাদেশ টেস্ট খেলেছে ১৩৪টি। এর মধ্যে জয়ের দেখা মিলেছে মাত্র ১৮টিতে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে শোচনীয় পরাজয়ের মধ্য দিয়ে হারের সেঞ্চুরি পূর্ণ হয়েছে বাংলাদেশের।
জয়ের দেখা মেলা ১৮ ম্যাচের ভেতর ১০টিই বাংলাদেশ খেলেছে ঘরের মাঠে। এই ১০ ম্যাচে জয় বাগিয়ে নিতে তামিম-সাকিবদের খেলতে হয় ৬৯ ম্যাচ। একইসঙ্গে নিজেদের মাটিতে সবশেষ ৬ টেস্টেও জয়ের দেখা মেলেনি লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের।
টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের অবস্থা যে শোচনীয় তা পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট। ১০ টেস্টে জয় পাওয়ার বিপরীতে বাংলাদেশের ৬৯ ম্যাচ খেলার পরিসংখ্যান চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে এখনও বনেদি ফরম্যাটের ক্রিকেটে কতটা অপরিপক্ব, কতটা দুর্বল বাংলাদেশ। ২২ বছর ধরে খেলেও সম্ভব হয়নি অবস্থার উন্নতি ঘটানো।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে সেইন্ট লিসিয়া টেস্ট শেষে দলপতি সাকিব আল হাসান ঘরের মাঠে টেস্টে পরাজয় এড়ানোর প্রতি বার বার জোর দিয়েছেন। তার সুরে সুর মিলিয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক দলপতি মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা। টেস্টে উন্নতি করতে হলে ঘরের মাঠে জয় ও ড্র ভিন্ন আর কোনো উপায় নেই বলে মনে করছেন তিনি।
মঙ্গলবার নিজ বাসভবনে মাশরাফি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘একদম শতভাগ একমত। একটু আগেও আমি কথাটা বলছিলাম। ওয়ানডে ক্রিকেটেও কিন্তু আমরা এভাবে পরিবর্তন এনেছি। আমাদের প্রথম পরিকল্পনা ছিল ঘরের মাঠে যতটা সম্ভব ম্যাচ জিতব। সেক্ষেত্রে ৮০ শতাংশ ম্যাচ আমরা কিভাবে জিততে পারি সেদিকে দৃষ্টি দেয়া।’
‘টেস্ট ক্রিকেটেও আমরা অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডকে হারিয়েছিলাম। ওই জায়গা থেকে একটু পিছিয়ে সমস্যা হয়ে গেছে। তবে হোমে ম্যাক্সিমাম ম্যাচ এখন আমাদের জিততে হবে। হোমে খেললে কিন্তু ড্র করার সুযোগ কমে যাবে। কারণ স্পিনিং উইকেট বানালে ড্র হওয়ার সম্ভাবনা কমে। আমাদের ম্যাচ জিততে হবে ওই পরিকল্পনা করে। আমি মনে করি সাকিব আক্রমণাত্মক চিন্তা-ভাবনা করছে, যা ইতিবাচক।’