ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ইংল্যান্ড জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব নেন গত মাসে। দায়িত্ব পেয়ে তিনি জানিয়েছিলেন, ইংলিশদের হয়ে নতুন দিনের সূচনা করবেন। দল সাজান নিজ দেশ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেই। আক্রমণাত্মক ক্রিকেট উপহার দিয়ে কিউইদের তিন ম্যাচেই উড়িয়ে দিল ম্যাককালামের দল।
লিডসে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের শেষ টেস্টে ৭ উইকেটে জিতেছে ইংল্যান্ড। আগের দুই টেস্টে ৫ উইকেটে জয় পেয়েছিল স্বাগতিকরা। ফলে সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে ক্লিনসুইপ করল ইংল্যান্ড।
সিরিজের শেষ ম্যাচে ২৯৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে জয়ের মঞ্চ আগের দিনই গড়ে ফেলে ইংলিশরা। সোমবার শেষ দিনে তাদের দরকার ছিল ১১৩ রান। তখনও হাতে ৮ উইকেট।
মাঝে বৃষ্টির কারণে ভেস্তে যায় প্রথম সেশন। পরে খেলা শুরু হলে লক্ষ্যে পৌঁছাতে বেশি সময় নেননি ইংলিশ ব্যাটাররা। ১৫ ওভার ২ বল খেলে ১ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছায় স্বাগতিকরা।
পঞ্চম দিনের শুরুতে প্রথম ওভারেই ওলে পোপের উইকেট তুলে নেন টিম সাউদি। ১০৮ বলে ৮২ রান করে আউট হন তিনি।
এ ধাক্কা সামলে এরপর আর পেছনে ফিরতে হয়নি ইংলিশদের। ব্যাটিংয়ে বেয়ারস্টো টেস্ট ক্রিকেটে রীতিমতো ওয়ানডে ও টি-২০ আমেজ দেন। ৭১ রানের এক দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন তিনি।
বেয়ার স্টো ১৬১.৩৬ স্ট্রাইক রেটে ৪৪ বলে ৮ চার ও ৩ ছক্কায় ৭১ রানে অপরাজিত থাকেন। আরেক ব্যাটার জো রুট আগের দিনের ৫৫ রান নিয়ে ব্যাটিং শুরু করেন। ১১ চার ও ২ ছক্কায় তার ব্যাট থেকে আসে ১২৫ বলে ৮৬* রানের দারুণ একটি ইনিংস।
পোপ আউটের পর বেয়ারস্টোর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দ্বিতীয় সেশনেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ইংল্যান্ড।
প্লেয়ার অফ দ্য সিরিজের পুরস্কার পেয়েছেন ডানহাতি ব্যাটার জো রুট। ২টি সেঞ্চুরি ও ১ ফিফটিতে ৯৯.০০ গড়ে ৩৯৬ রান করায় তিনি এ পুরস্কার পান।
১৫ ম্যাচে ৫২ পয়েন্ট নিয়ে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে পয়েন্ট তালিকায় ৭ নম্বরে উঠে এসেছে ইংল্যান্ড। অপরদিকে ১৫ টেস্টে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে নিউজিল্যান্ড নেমে গেছে ৮ নম্বরে।
এই চক্রে ৯ টেস্টে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে সবার নিচে অবস্থান করছে বাংলাদেশ।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এ জয়ের পর ইংল্যান্ডের সামনে ভারত চ্যালেঞ্জ। গত বছর স্থগিত হওয়া টেস্ট সিরিজের শেষ ম্যাচটি খেলতে এজবাস্টনে শুক্রবার মুখোমুখি হবে দল দুটি।