মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচের প্রথমটিতে বাংলাদেশের মেয়েরা দাপুটে জয় পেলেও দ্বিতীয়টিতে গোলশূন্য ড্র করেছে। লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা দুই ম্যাচের টুর্নামেন্টে একটি জয় ও একটি ড্র নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে রোববার দ্বিতীয় ম্যাচে গোলশূন্য ড্র করে মাঠ ছাড়ে গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যরা।
আগের ম্যাচের একাদশের ওপরই ভরসা রাখেন কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। তবে চার পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে মালয়েশিয়া। প্রথম ম্যাচে র্যাংকিংয়ে ৬১ ধাপ এগিয়ে থাকা মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ৬-০ গোলে জিতলেও দ্বিতীয় ম্যাচ অমীমাংসিত রেখেই শেষ করতে হয়েছে।
প্রথম ম্যাচের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেও জয় তুলতে পারেনি মালয়েশিয়ার মেয়েরা। রক্ষণভাগে দারুণ মনোযোগ রাখায় বাংলাদেশের প্রতিটি আক্রমণ দারুণভাবে প্রতিরোধ করেছে সফরকারীরা।
ম্যাচের শুরু থেকেই বাংলাদেশ গোলের খোঁজে মরিয়া হয়ে প্রতিপক্ষের রক্ষণে হানা দিলেও কোনোরকম ভুল করেনি জ্যাকব জোসেফের শিষ্যরা।
অষ্টম মিনিটে আঁখি খাতুনের গতির শট ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন মালয়েশিয়ান গোলকিপার নুরুল আজুরিন। ১১তম মিনিটে ম্যাচের সবচেয়ে বড় সুযোগ নষ্ট করে বাংলাদেশ। মনিকার তুলে দেয়া বল গোলমুখ থেকে পোস্টের ওপর দিয়ে মারেন ডিফেন্ডার মাসুরা পারভিন।
১৭তম মিনিটে বাংলাদেশের করা আরও একটি শট রুখে দেন গোলকিপার আজুরিন। ৪০তম মিনিটে বাংলাদেশের অধিনায়কের দারুণ শট রুখে দেন মালয়েশিয়ান গোলকিপার।
দ্বিতীয়ার্ধে মালয়েশিয়ার বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়কে দেখা যায় আহত হয়ে মাঠে বারবার শুয়ে পড়তে। তবে আক্রমণে কমতি ছিল না ছোটনের শিষ্যদের। শেষের ৮৫তম মিনিটে কৃষ্ণার শটটি কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশের মেয়েরা। সবশেষ ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
দুই ম্যাচের সিরিজে সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার পেয়েছেন আঁখি বেগম। তিনি প্রথম ম্যাচে দুই গোল করেছেন। অপরদিকে টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন মারিয়া মান্ডা।