ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে লিড পেয়েছে বাংলাদেশ। চা বিরতিতে যাওয়ার আগেই সাকিব আল হাসান ও নুরুল হাসান সোহানের ব্যাটে ভর করে লিড নেয় সফরকারীরা।
এরপর ৯৯ বলে ৬৩ রান করে আউট হন সাকিব। ১৬৭ বলে ৬৪ রানে থামেন নুরুল। গুরুত্বপূর্ণ দুটি উইকেটই নেন রোচ। এ দুজনের বিদায়ে বাংলাদেশ শিবিরে হতাশা নেমে আসে।
তৃতীয় দিনের শেষ বেলায় ৮ উইকেটে ২৪৫ রান টাইগারদের। লিড ৮৩ রানের। ৮৭ ওভার শেষে মাঠে আছেন এবাদত ও মুস্তাফিজ। রোচের বলে ৬ মেরে রানের খাতা খোলেন মুস্তাফিজ।
দুই উইকেটের খরচায় ৫০ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করে দিনের নবম ওভারে প্রথম উইকেট হারায় সফরকারীরা। কাইল মায়ার্সের শিকার বনে ১৭ রানে মাঠ ছাড়তে হয় নাজমুল হোসেন শান্তকে।
ব্যর্থতার বেড়াজাল ছিঁড়তে পারেননি মুমিনুল হকও। মায়ার্সের দ্বিতীয় শিকার হয়ে মাত্র ৪ রানে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। ফলে ৭৫ রান তুলতে ৪ ব্যাটারকে হারায় বাংলাদেশ।
দ্রুত উইকেট পতনের ধাক্কা কাটাতে রানের গতি বাড়ানোর মিশনে নামেন লিটন দাস। জয়কে সঙ্গে নিয়ে দলীয় স্কোর ১০০ রান করেন তিনি। কিন্তু রান বাড়ানোর প্রচেষ্টায় মায়ার্সের হাতে ধরা দিয়ে রোচের প্রথম শিকার হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।
লিটনের বিদায়ের পর মাহমুদুল হাসান জয়কে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার গুরুভার কাঁধে তুলে নেন সাকিব আল হাসান। তবে জয়ের সঙ্গ বেশিক্ষণ পাননি টেস্ট দলপতি। দলীয় ১০৯ রানেই ১৫৩ বল খেলা জয় রোচের দ্বিতীয় শিকার বনে। মাঠ ছাড়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৪২ রান।
তবে উইকেট কামড়ে ধরে নুরুল হাসান সোহনকে সঙ্গে নিয়ে বিপর্যয় এড়ানোর প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সাকিব আল হাসান। মধ্যাহ্ন বিরতির আগ পর্যন্ত আর কোনো বিপদ না ঘটায় ৬ উইকেট হারিয়ে ১১৫ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
বিরতি থেকে ফিরে দেখেশুনে ব্যাট চালাতে থাকেন সাকিব-সোহান। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে প্রাথমিক বিপদ এড়িয়ে দলকে এনে দেন লিড।
এর আগে অ্যান্টিগা টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে স্বাগতিকদের চেয়ে ১১২ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় দিন শেষ করে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের করা ১৬২ রানের লিডের জবাবে দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ৫০ রান।