প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের করা ১০৩ রানের জবাবে ৮ রানে পিছিয়ে থেকে দিন শেষ করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম দিনের খেলা শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৯৫ রান। অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের ৫১ রান বাদ দিলে বাকি ১০ জন মিলে করেছেন ৫২ রান।
গত মাসে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৬ জন ব্যাটার আউট হন শূন্য রানে। তিন সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও সমসংখ্যক ব্যাটার আউট হলেন একই রানে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজে অ্যান্টিগা টেস্টে প্রথম দিনের এমন ব্যাটিং বিপর্জয়ের পরও অধিনায়ক সাকিব আল হসান আশা ছাড়ছেন না।
ম্যাচ শেষে বুধবার সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করব ওদেরকে ১০০, দেড় শ বা দুই শর ভেতর অলআউট করতে। এমনকি আড়াই শর মধ্যেও যদি অলআউট করতে পারি, তবে আমরা যদি দ্বিতীয় ইনিংসে ভালো ব্যাটিং করতে পারি, তাহলে একটা সুযোগ থাকে। এখানে লাস্ট ইনিংসে কী হবে, আমরা কেউ জানি না। এখানে প্রতিদিনই নতুন একটা দিন।’
অধিনায়ক সাকিব বোলাদের প্রশংসা করে বলেন, ‘আজকের দিনে আমি খুব হ্যাপি, দল এই জিনিসটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে। বোলাররা চেষ্টা করেছে, যাতে ভালো বোলিংয়ের মধ্যমে ব্যাটারদের সাপোর্ট করতে পারে, যে সাপোর্টটা ব্যাটারদের কাছ থেকে দল পায়নি।’
সাকিব ছাড়া রানের দেখা পেয়েছেন তামিম ইকবাল, লিটন দাস, মেহেদি হাসান মিরাজ ও এবাদত হোসেন। এর মধ্যে তামিম ৪৩ বলে ২৯ ও লিটন ৩৩ বলে ১২ রান করেন। বাকি দুজন ছাড়াতে পারেননি দুই অঙ্কের ঘর।
টাইগার অধিনায়ক সাকিব মনে করেন, দ্বিতীয় ইনিংসে ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জটা ব্যাটারদেরই নিতে হবে।
তিনি বলেন, ‘ব্যাখ্যা করার আমি কোনো অপশনই দেখি না। আমার কাছে কোনো ব্যাখ্যা নেই।
‘আমি জানি না অন্য কারও কাছে আছে কি না। সব থেকে সহজ কাজ হচ্ছে কোচ, ক্যাপ্টেন, সিলেক্টরদের জন্য পারফর্ম করতে না পারলে বাদ দিয়ে দেয়া।’
সাকিব আরও বলেন, ‘এটা ব্যাটারদেরই দায়িত্ব নিতে হবে। তাদের কাজটা তাদেরই করতে হবে। কেউ এসে তাদের মুখে তুলে খাইয়ে দেবে না।
‘আজ ব্যর্থ হয়েছে। আশা করছি পরের ইনিংসে ঘুরে দাঁড়াবে, যাতে করে ব্যর্থতা রিকভারি করতে পারে।’