২০০০ সালে ক্রিকেটের বনেদি ফরম্যাট টেস্ট খেলার যোগ্যতা অর্জন করে বাংলাদেশ। দেখতে দেখতে কেটে গেছে আরও ২২টি বছর। এই সময়কালে বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাস ঘাটলে বেশ কিছু অর্জন চোখে পড়বে। কিন্তু সেসব অর্জন একেবারেই চাপা পড়ে যায় ব্যর্থতার স্তূপের আড়ালে।
ব্যর্থতার রেকর্ডবুক ক্রমশ ভারিই হচ্ছে। সেই রেকর্ডে আরেকটি সংযুক্তি দেখা গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে।
ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ১০৩ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। সফরকারীদের ১০ ব্যাটারের ভেতর মাত্র তিনজনের পক্ষে সম্ভব হয় দুই অঙ্কের রানের দেখা পাওয়া। বাকি সাত ব্যাটারকে মাঠ ছাড়তে হয়েছে এক অঙ্কের ঘরে আটকে থেকেই। আর এই সাতজনের ছয়জনই মেরেছেন ডাক (০)।
টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এক ইনিংসে ৬ ব্যাটারের ডাক মারার ঘটনা ঘটেছে মোটের ওপর ৭ বার। ৫টি দলকে ভাগিদার হতে হয়েছে এমন লজ্জার রেকর্ডের। তারা হলো- পাকিস্তান, ভারত, বাংলাদেশ, সাউথ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ড।
তবে লজ্জাটা বাংলাদেশেরই সবচেয়ে বেশি। কেননা বাংলাদেশের সঙ্গে এই ঘটনা ঘটেছে ৩ বার। তাও আবার ব্যাক টু ব্যাক ২ টেস্টে।
বাংলাদেশ ছাড়া বিশ্বের আর কোনো দলই একাধিকবার এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়নি।
অপরদিকে প্রতিপক্ষকে সবেচেয়ে বেশি এমন লজ্জাজনক পরিস্থিতিতে ফেলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এখন পর্যন্ত ক্যারিবীয়রা দুই দলকে তিনবার এমন বাজে পরিস্থিতির সামনে দাঁড় করিয়েছে। আর এই তিনবারের ভেতর দুবারের শিকারই বাংলাদেশ।
১৯৮০ সালে প্রথম দল হিসেবে এই রেকর্ডের মালিকানা নিজের করে নেয় পাকিস্তান। প্রতিপক্ষ ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
এরপর ১৯৯৬ সালে ভারতের বিপক্ষে এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয় সাউথ আফ্রিকা। ছয় বছর পর ২০০২ সালে প্রথমবারের মতো ছয় ব্যাটারের ডাক মারার রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশ। সেবার বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
২০১৪ সালে ভারতের ছয় ব্যাটারকে ডাকের স্বাদ দিয়ে ইতিহাসে চতুর্থবারের মতো লজ্জার রেকর্ডের সামনে দাঁড় করায় ইংল্যান্ড।
২০১৮ সালে নিউজিল্যান্ডকে এমন লজ্জাজনক পরিস্থিতিতে ফেলে পাকিস্তান। সে ঘটনার চার বছর পর ২০২২ সালে এসে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার কাছ থেকে আরও একবার ছয় ব্যাটারের ডাকের দেখা পায় বাংলাদেশ।
সবশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ছয় ব্যাটার রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন। আর এর মধ্য দিয়ে ডাকের রেকর্ডের হ্যাট্রিক পূর্ণ হয় বাংলাদেশের।