বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাকিবের অর্ধশতকে দলীয় সংগ্রহ ১০৩

  •    
  • ১৬ জুন, ২০২২ ২২:৪২

প্রথম সেশনে সফরকারীদের সংগ্রহ ছিল ৬ উইকেটে ৭৬ রান। এরপর ৩২ তম ওভারে ১০৩ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। ৫১ রানে আউট হন সাকিব আল হাসান।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে ব্যাটিং বিপর্যয় সঙ্গী করে সব উইকেট হারিয়ে ১০৩ করেছে বাংলাদেশ। প্রথম সেশনে সফরকারীদের সংগ্রহ ছিল ৭৬ রান, পতন ঘটে ৬ উইকেটের। তারপর সাকিব লড়াই করে দলকে ১০০ পার করালেও বেশি দূর যেতে পারেননি।

ব্যক্তিগত ২৭ রানে বিরতি থেকে ফিরে উইকেটে দীর্ঘ সময় টিকে ছিলেন সাকিব আল হাসান। অধিনায়কত্বের চাপের মাঝে সতর্ক হয়ে ব্যাট চালান তিনি। তাকে অল্প সময় সঙ্গ দিয়ে ফিরে যান মেহেদী হাসান মিরাজ। মোস্তাফিজ দ্রুত বিদায় নেন এ বিপর্যয়ে তাল মিলিয়ে। ৮ উইকেট হারিয়ে রান পৌঁছে নব্বুইয়ের ঘরে। সাকিব অনেকটা একা লড়াই করছিলেন প্রতিকূলতার মধ্যে। দলের সংগ্রহ ১০০-তে নিতে মরিয়া চেষ্টা চালান তিনি।

এবাদতকে সঙ্গী করে সাকিব যখন ৬৪ বলে ৫০ করেন, তখন দলীয় রান পৌঁছে ১০২-এ। এ সময়ে দূরে বল পাঠিয়েও কয়েক দফা রান নেননি সাকিব। বাউণ্ডারি মেরেই তিনি দলের শতক ও নিজের অর্ধ-শতক পূরণ করেন। এরপর দলীয় ও নিজের খাতায় ১ রান যোগ করেই সাকিব আউট হয়ে ফিরে যান। শেষ জুটি হিসেবে মাঠে থাকেন খালেদ ও এবাদত। তারা থেমে যান সেই ১০৩ রানেই।

উইকেট পতনের শুরুটা হয় ইনিংসের দ্বিতীয় বলে মাহমুদুল হাসান জয়ের হাত ধরে। এরপর বাংলাদেশ ১৫ ওভার খেলতেই হারায় ছয় ব্যাটারকে।

এই ছয় ব্যাটারের ভেতর চারজন সাজঘরে ফিরেছেন রানের খাতা খোলার আগেই।

অ্যান্টিগায় ম্যাচের শুরু থেকে কিমার রোচ-আলজারি জোসেফদের সামনা করতে বিপাকে পড়তে হয় টাইগারদের। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে মাহমুদুল হাসান জয়কে ফিরিয়ে বাংলাদেশের শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন রোচ।

এরপর আসা-যাওয়ার মিছিলে শামিল হন নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক। দুজনই ফেরেন শূন্য রানে।

উইকেটের এক প্রান্ত আগলে লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন তামিম। লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে নাম লেখান পাঁচ হাজারি ক্লাবে। চলতি ম্যাচের আগে অনন্য এই মাইলফলক স্পর্শের জন্য বাঁহাতি এ ব্যাটারের প্রয়োজন ছিল ১৯ রান।

দলকে বেশিদূর টেনে নিয়ে যতে পারেননি তামিম। ৪৩ বলে ২৯ রান করে জোসেফের শিকারে পরিণত হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।

সঙ্গীর বিদায়টা যেন মেনে নেয়া সম্ভব হচ্ছিল না লিটন দাসের পক্ষে। পরের ওভারের চতুর্থ বলে মায়ার্সের শিকার বনে সাজঘরের পথ ধরেন এই ডানহাতি।

এক বল পর শূন্য রানে সাজঘরের পথ ধরার মিছিলে শামিল হন নুরুল হাসান সোহানও। আর তাতেই প্রথম ঘণ্টাতেই ৪৫ রান তুলতে ৬ উইকেটের পতন ঘটে বাংলাদেশের।

এরপর দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের মাধ্যমে উইকেটের লাগাম টেনে ধরেন সাকিব আল হাসান। সঙ্গে নেন মেহেদী হাসান মিরাজকে। এই দুজনে মিলে মধ্যাহ্ন বিরতির আগ পর্যন্ত আর কোনো বিপদ হতে দেননি বাংলাদেশের। তারপর আবার শুরু হয় ব্যাটারদের যাওয়া-আসা। ১০৩ করেই সব উইকেট হারাতে হয় বাংলাদেশকে।

স্বাগতিকদের হয়ে উইকেট শিকার করেন রোচ,মায়ার্স, সিলস ও জোসেফ।

এ বিভাগের আরো খবর