বিসিবিকে বেশ কয়েকবারই টেস্ট খেলার প্রতি অনাগ্রহের কথা জানিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। বোর্ড তার এ সিদ্ধান্তকে আমলে নিয়ে শুধু সাদা বলের জন্য চুক্তিবদ্ধ করে তাকে।
নিয়মিত টেস্ট খেলা পেইসারদের টানা লম্বা ইনজুরিতে পড়ার কারণে এখন একরকম বাধ্য হয়েই কাটার মাস্টারকে উইন্ডিজ সিরিজে টেস্ট খেলতে রাজি করিয়েছে বোর্ড।
বিসিবির যুক্তি একজন ক্রিকেটারকে তারা যখন খুশি যে কোনো ফরম্যাটে প্রয়োজনে খেলাতে পারে। চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়রা সে সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য।
তাই ফিটনেসের দোহাই দিয়ে টেস্ট থেকে স্বেচ্ছায় নির্বাসনে যাওয়া মুস্তাফিজকে খেলতে হচ্ছে উইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে। এর প্রধান কারণ পেইসার সংকট।
ইনজুরির কারণে নিয়মিত টেস্ট খেলুড়ে দুই পেইসার তাসকিন আহমেদ ও শরীফুল ইসলামকে টেস্ট সিরিজে পাচ্ছে না বাংলাদেশ। আরেক নিয়মিত টেস্ট বোলার আবু জায়েদ রাহীর ওপর সুদৃষ্টি নেই বোর্ডের। আর সে কারণে অটো চয়েজ হিসেবে উইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট দলে এসে গেছেন মুস্তাফিজুর রহমান।
তবে মুস্তাফিজের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানানো উচিত বলে মনে করছেন জাতীয় দলের টেস্ট অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। সাকিবের মতে, ক্রিকেটাররা কে কোন ফরম্যাটে খেলবে সেই সিদ্ধান্ত নেয়ার বিষয়টি ক্রিকেটারদের ওপর ছেড়ে দেয়া উচিত।
ম্যাচপূর্ব সংবাদসম্মেলনে বুধবার রাতে এমনটাই মন্তব্য করেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।
তিনি বলেন, ‘একেকজনের পছন্দ একেক রকম থাকতে পারে। এখানে কাউকে উদ্বুদ্ধ করার কিছু নাই। মুস্তাফিজ যদি মনে করে যে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে চায় আর সেটা যদি ওর জন্য ভালো হয়, তাহলে আমার মনে হয় সে সিদ্ধান্তকে আমাদের সম্মান করা উচিত।’
টেস্ট খেলার প্রতি আগ্রহ না থাকলেও সেটি মুস্তাফিজের পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলবে না বলে বিশ্বাস সাকিবের। তিনি যোগ করেন বলেন, ‘যেহেতু এই সিরিজে দলে আছে, আমি নিশ্চিত ও মোটিভেটেড এই দুইটা ম্যাচ খেলার জন্য। এটাই এখন আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।’
উইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্টে দুই বছর পর ফিরলেও মুস্তাফিজ ক্রিকেটের বনেদি এই ফরম্যাটে নিয়মিত খেলবেন কিনা সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। মুস্তাফিজ সামনে টেস্টে নিয়মিত হবেন কি না সেই বিষয়ে ভাবনা নেই সাকিবের। টেস্ট অধিনায়কের মাথায় আপাতত ঘুরছে চলতি সিরিজের দুই ম্যাচে। পরের সিদ্ধান্ত মুস্তাফিজের ওপর ছেড়ে দিচ্ছেন তিনি।
সাকিব বলেন, ‘অধিনায়ক হিসেবে দুই ম্যাচের কথা চিন্তা করি। এটার দিকেই ফোকাস করতে চাচ্ছি। আর আমি নিশ্চিত ও খুবই মোটিভেটেড এই দুই ম্যাচ খেলার জন্য। আপনি যদি দীর্ঘ পরিসরের কথা বলেন, আমি জানি না ওর মনে কি আছে, টেস্ট খেলতে চায় কি না-চায়।
‘আমার মনে হয় প্রত্যেকটা ক্রিকেটারই আলাদা আলাদা কিছু প্রেফারেন্স থাকে, পছন্দ থাকে, কমফোর্টজোন থাকে। সেটাকে সম্মান করা উচিত।’