মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়কে ৫৯ রানে হারিয়ে জাতীয় স্কুল ক্রিকেটের শিরোপা জিতল রংপুর শিশু নিকেতন হাই স্কুল। শিশু নিকেতনের দেয়া ১০৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৪৩ রানে থেমে যায় মেহেরপুরের ইনিংসের চাকা।
নারায়গঞ্জের শামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা রংপুর শিশু নিকেতন ৩৭.১ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ১০২ রান করে। আহমেদ তেজান সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন। উইকেটকিপার সাদ ২৪ রান করেন। মেহেরপুরের আরাফাত আমান ৯ রানে ৪ উইকেট নেন। সোহানুর রহমান ও সোহান আবেদীন ২টি করে উইকেট নেন।
১০৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম বলে উইকেট হারায় মেহেরপুর। শুরুর এ ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারেনি দলটি। রংপুরের লেগ স্পিনার সাইখ ইমতিয়াজ ৫ ওভারে ১৪ রানে ৫ উইকেট নিয়ে প্রতিপক্ষ দলকে ধসিয়ে দেন। শেষ পর্যন্ত ২০.২ ওভারে ৪৩ রানে অলআউট হয় মেহেরপুরের দলটি।
৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন রংপুর অধিনায়ক সাইখ ইমতিয়াজ। ৩৩ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্টের সেরা বোলারও তিনি। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ও হয়েছেন প্রতিভাবান এ ক্রিকেটার। বাড্ডা আলাতুননেসা স্কুলের মাফরাফ মাহিন ৩৮৩ রান করে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছেন।
নিজেদের ভুলকেই হারের কারণ হিসেবে দাঁড় করান মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অধিনায়ক ইশতিয়াক আহমেদ জিহান। তিনি বলেন, ‘আমরা ম্যাচের শুরু থেকে কিছু ভুল করেছি। প্রথম বলে উইকেট হারানোর পর দ্রুত কয়েকজন ব্যাটসম্যান ফিরে আসেন। এটি ছিল আমাদের হারের প্রধান কারণ।’
ম্যাচের পর চ্যাম্পিয়ন অধিনায়ক সাইখ ইমতিয়াজ শিহাব বলেন, ‘দুই বছর আগে আমরা স্কুল ক্রিকেটের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছি। তখন থেকেই দৃঢ় প্রতিজ্ঞা নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করে আসছিলাম। প্রতিযোগিতার শুরু থেকেই কোচ নাসির আহমেদ আকাশ স্যার বলে আসছেন যে সেরাটা দেয়ার প্রতি মনোযোগী হলে, বাকিটা এমনি আসবে। আমরা সে চেষ্টাই করেছি। আজকের সাফল্য আমাদের পরিশ্রমের ফসল।’