সময় বদলায়, খেলোয়াড় বদলায়, ভেন্যু, কোচ সবই বদলায়। বদলায়না শুধু বাংলাদেশ ফুটবল দলের ভাগ্য। বাহরাইনের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে বাংলাদেশ মাঠে নেমেছিল ৪৩ বছর আগের দগদগে স্মৃতি ভুলিয়ে দিতে।
১৯৭৯ সালে যেই জায়গায় থেকে ম্যাচ শেষ করেছিল বাংলাদেশ, ২০২২ সালে এসেও সেই একই জায়গায় থেকে মাঠ ছাড়তে হয়েছে কাবরেরা শীষ্যদের।
এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে বাহরাইনের বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। র্যাঙ্কিংয়ে ৯৯ ধাপ এগিয়ে থাকা দলটির বিপক্ষে এই ম্যাচের আগে সবশেষ ১৯৮৩ সালে মাঠে নেমেছিল লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। সেবার বাংলাদেশকে হারতে হয়েছিল ২-০ ব্যবধানে।
৩৯ বছর পর দুই দলের ফের দেখায় একই ব্যবধানে হারতে হয়েছে জামাল ভুঁইয়াদের। গোলপোস্টের সামনে ১০ খেলোয়াড়কে দাঁড় করিয়েও হার এড়াতে পারলেন না কাবরেরা।
কুয়ালালামপুরের বুকিত জলিল জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই বাংলাদেশের জালে স্বাগতিকদের উপর্যুপুরি আক্রমণ চালানো শুরু করেন বাহরাইনের খেলোয়াড়রা। তবে গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোর সুবাদে প্রথম ৩০ মিনিট সেই আক্রমণ প্রতিহত করা সম্ভব হয় বাংলাদেশের।
আনিসুরের জাদু শুরু হয় ম্যাচের ১১ মিনিট থেকে। কর্নার থেকে বাহরাইনের মোহাম্মদ বেনাদ্দির শট ঝাঁপিয়ে ফেরান জিকো। ১৭ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া রহমান আল মালোদের জোড়ালো শট ফিরিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো জাল বাঁচান এই গোলরক্ষক।
২৪ মিনিটে আব্দুল্লাহ হারামের দূরপাল্লার শটও প্রতিহত হয় জিকোর কল্যাণে। তার সব প্রচেষ্টাই বিফলে যায় ৩৪ মিনিটের মাথায়।
কোমাইল হাসানের কর্নার থেকে দারুণ হেডে জালের ঠিকানা খুঁজে নিয়ে ডেডলক ভাঙেন আব্দুল্লাহ হারাম। আট মিনিট পর বক্সের বাইরে থেকে কোমাইলের হাসানের গতিময় শট জিকোকে ফাঁকি দিয়ে জালে জড়ালে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়।
এরপর দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কিছু আক্রমণ চালালেও গোল ব্যবধান বাড়তে দেননি জিকো। শেষ পর্যন্ত ২-০ ব্যবধানে হারকে সঙ্গী করে মাঠ ছাড়তে হয় জামাল ভুঁইয়াদের।
শনিবার নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।