লিওনেল মেসির মাঠে নামা মানেই যেন রেকর্ডের ফুলঝুরি। এস্তোনিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচেও রোববার রাতে বিশ্বসেরা ফুটবলার জন্ম দিয়েছেন একগাদা রেকর্ডের।
এস্তোনিয়ার বিপক্ষে ৫ গোল করে আন্তর্জাতিক ফুটবলের চতুর্থ সেরা গোলস্কোরার বনে গেছেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক। তার আন্তর্জাতিক গোলসংখ্যা এখন ৮৬টি। ১১৭ গোল করে সবার ওপরে আছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালডো।
এর আগে ২০১১-১২ চ্যাম্পিয়নস লিগে বেয়ার লেফারকুজেনের বিপক্ষে শেষ ষোলর ম্যাচে ৫ গোল করেছিলেন মেসি। এতে করে আন্তর্জাতিক ফুটবল ও শীর্ষ পর্যায়ের ক্লাব ফুটবলে ম্যাচে ৫ গোল করা একমাত্র ফুটবলার তিনি। আর আর্জেন্টিনার জার্সিতে ১৯৪১ সালের পর প্রথম কোনো ফুটবলার ৫ গোল করলেন।
শুধু গোলের দিক থেকেই নয়, গোল ও অ্যাসিস্ট মিলিয়ে ১১০০ গোলে অবদান রেখেছেন মেসি, যা একটি বিশ্বরেকর্ড। বার্সেলোনা, পিএসজি ও আর্জেন্টিনার হয়ে ৯৭৪ ম্যাচে ৭৬৯ গোল ও ৩৩১ অ্যাসিস্ট মেসির।
আর জাতীয় দলের হয়ে যে ৮৬টি গোল করেছেন তার মধ্যে ২৮টি এসেছে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে। ১২টি কোপা আমেরিকায়, ৬টি বিশ্বকাপে, ৪০টি এসেছে প্রীতি ম্যাচে।
সবচেয়ে বেশি ৪৬ গোল করেছেন মেসি ওপেন প্লে থেকে। ২৩টি করেছেন পেনাল্টি থেকে। ৮টি ফ্রি-কিক গোল আছে তার আর্জেন্টিনার জার্সিতে। ৭টি গোল ডান পায়ে করেছেন তিনি আর ২টি আছে হেডার। বাকিগুলো তার বিখ্যাত বাঁ পায়ে।
চার দিনের ব্যবধানে ফিনালিসিমা ও এস্তোনিয়ার বিপক্ষে বড় ব্যবধানে জয় দিয়ে আন্তর্জাতিক মৌসুম শেষ করেছে আর্জেন্টিনা। দলের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট অধিনায়ক।
ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে রোববার রাতে মেসি লেখেন, ‘এর চেয়ে ভালো সমাপ্তি হতে পারত না মৌসুমের। আমরা ফিনালিসিমা জিতেছি আর আজ বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ ছিল। যারা মাঠে এসেছেন ও যারা দূর থেকে সমর্থন জুগিয়েছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ। আমরা কিছুদিন বিশ্রামের পর দ্রুত ফিরব। সবার প্রতি ভালোবাসা।’
আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপের আগে আবার প্রস্তুতি ম্যাচে মাঠে নামবে সেপ্টেম্বরে। নভেম্বর থেকে কাতারে শুরু হচ্ছে বিশ্বকাপ।