বিসিবির বিশেষ স্পিন ক্যাম্পের প্রথম দিন ছিল আজ। টাইগারদের স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গন হেরাথ কাজ করেছে স্থানীয় স্পিনারদের সঙ্গে। নতুন-পুরনো মিলিয়ে এক ঝাঁক স্পিনারকে দীক্ষা দিয়েছেন সাবেক এ লঙ্কান টেস্ট স্পিনার।
শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে যাওয়ার পর বাংলাদেশের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ। উইন্ডিজের ঘাসের পিচ ও শক্ত উইকেটে পেইসারদের পাশাপাশি স্পিনারদেরও ভূমিকা রাখতে হবে বলে মনে করেন হেরাথ।
রোববার অনুশীলন শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘যেখানেই খেলা হোক না কেন আপনাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিংবা বিশ্বের যে প্রান্তে খেলুন না কেন, দায়িত্বটা আপনাকে নিতে হবে। হতে পারে ঘাসের উইকেট, ফ্ল্যাট উইকেট, হতে পারে স্পিনারদের জন্য সহায়তা আছে এমন কোনো উইকেট। আপনাকে নিজের শক্তির জায়গাটা আগে ঠিক করতে হবে। দায়িত্ব জানতে হবে ও পরিস্থিতি অনুযায় বল করতে হবে।’
তবে মেহেদী মিরাজ ও নাঈম হাসান চোটে পড়ায় ফ্রন্টলাইন স্পিনার নিয়ে কিছুটা বিপাকে পড়েছে টাইগাররা। তাইজুল ইসলাম ছন্দে নেই। সেক্ষেত্রে অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসানের ওপরই ভরসা রাখতে হবে উইন্ডিজ সফরে।
সাকিবের সে সামর্থ্য আছে বলে মনে করেন হেরাথ। তার মতে দলের হয়ে আরও ৪-৫ বছর খেলতে পারবেন সাকিব।
তিনি বলেন, ‘সাকিব খুবই অভিজ্ঞ। সে সব সময় আপ টু দ্য মার্ক থাকে। এক্ষেত্রে তাকে ফিটনেস নিয়ে ভাবলেই হবে। যদি সে ফিটনেস ঠিকঠাক রাখতে পারে, আমি মনে করি সে অনেক দূর খেলতে পারবে।’
একই সঙ্গে বিকল্প স্পিনার তৈরির দিকেও গুরুত্ব দিয়েছেন টাইগারদের স্পিন গুরু। তার মতে বিসিবির স্পিন ক্যাম্পের মূল উদ্দেশ্যও সেটি।
হেরাথ বলেন, ‘যদি ব্যাকআপ স্পিনার থাকে তাহলে এটা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য ভালো। নাঈমের চোটের পরে আর কোনো অফ স্পিনার আমরা পাইনি। সেক্ষেত্রে যদি আমরা যদি কাউকে আগে থেকে রেডি করে রাখতে পারি, তাহলে এটা বাংলাদেশ ক্রিকেটকে এগিয়ে নেবে।’
উইন্ডিজ সফরে স্পিনারদের দেখভালের জন্য থাকছেন না হেরাথ। পরিবারের সঙ্গে থাকতে ছুটিতে যাচ্ছেন তিনি। তবে তার না থাকা তেমন প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করেন চার শর বেশি উইকেট নেয়া এ বোলার।
হেরাথ যোগ করেন, ‘স্পিনার ও অন্য কোচদের সঙ্গে সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, তারা এ সফরে স্পিনারদের দেখাশোনা করবে।’