জাতীয় দলের পাইপলাইন শক্তিশালী, এমন দাবি সবসময় করে আসছে বিসিবি। যদিও বাস্তবে এর কোনো দৃষ্টান্ত হাজির করতে পারেনি বোর্ড । এখন পর্যন্ত সিনিয়র ক্রিকেটারদের অবসরের পর তাদের স্থলাভিষিক্ত কে হবেন সেটি খুঁজে বের করতে পারেনি টিম ম্যানেজমেন্ট।
ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে জাতীয় দলের পাইপলাইনে আসেন ক্রিকেটাররা। একই সঙ্গে সেখানে থাকেন বয়সভিত্তিক দলে পারফর্ম করা ক্রিকেটাররাও।
কিন্তু এদের ভেতর হাতে গোনা দুই একজন ছাড়া নিয়মিত পারফর্মারের দেখা মেলা ভার।
ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে জাতীয় দলের জায়গা করে নিলেও আন্তর্জাতিক মঞ্চে এসে নিষ্প্রভ হয়ে পড়েন ক্রিকেটাররা। যার সবশেষ উদাহরণ মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও নাজমুল হাসান শান্ত।
ডিপিএল এর গেল আসরে ব্যাট বল হাতে আলো ছড়ালেও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এসে খুঁজেই পাওয়া যায়নি লিগের সেই শান্ত আর মোসাদ্দেককে। ব্যাট হাতে তো দুইজন নিষ্প্রভ ছিলেনই, বল হাতে মোসাদ্দেক ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে।
কেন এক ভেন্যুতে ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো খেললে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এসে হারিয়ে যান ক্রিকেটাররা? এর প্রধান কারণ হিসেবে জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেটের মধ্যকার বিস্তর ফারাকের বিষয়টিকে সামনে আনেন।
সুজনের মতে, ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ভেতর বৈসাদৃশ্য থাকায় খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সের অবনতি হচ্ছে।
শনিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সুজন বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেটে অনেক গ্যাপ রয়ে গেছে। যারা ঘরোয়াতে অনেক ভালো করছে তারা আন্তর্জাতিকে এসেই ভালো করতে পারবে এটার নিশ্চয়তা নেই।’
একই সঙ্গে ঢাকা টেস্টে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা নিজেদের মান ধরে রেখে খেলতে ব্যর্থ হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সুজন বলেন, ‘অবশ্যই ভালো হয়নি। ফল যাই হোক, আমাদের প্রক্রিয়াও ভালো ছিল না। হার-জিত খেলার অংশ, হারতেই পারি। কিন্তু যেরকম কন্ডিশন ছিল বা যেরকম প্রতিপক্ষের সঙ্গে খেলেছি, বলব না আমরা মান অনুযায়ী খেলেছি।
'ইতিবাচক দিক আছে অনেক কিছুই। তবে ফলাফলের কথা চিন্তা করলে ভালো হয়নি। ঢাকা টেস্টে দুই ইনিংসেই টপ অর্ডারের ব্যর্থতা। দুই ইনিংসে একইরকম কেন হবে?’