শুক্রবার শেষ হওয়া বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে সর্বোচ্চ রান করেছেন লঙ্কান ব্যাটার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। দুই টেস্টের ৩ ইনিংসে ব্যাট করে দুটি সেঞ্চুরিতে ৩৪৪ রান করে সিরিজ সেরাও হয়েছেন ম্যাথিউস। প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৯৯ রান ও দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে অপরাজিত ১৪৫ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। সিরিজে তার ব্যাটিং গড় ১৭২।
ম্যাথিউসের পর দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে আছেন যথাক্রমে বাংলাদেশের মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। ৩ ইনিংসে ৩০৩ রান করেছেন মুশফিক। দুই টেস্টেই সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। প্রথম টেস্টে ১০৫ ও দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে অপরাজিত ১৭৫ রান করেন মুশফিক।
চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টে দেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে টেস্টে ৫ হাজার রানের মাইলফলকও স্পর্শ করেছেন মুশফিক। সিরিজে মুশফিকের ব্যাটিং গড় ১৫১ দশমিক ৫০।
দুটি হাফ সেঞ্চুরি ও একটি সেঞ্চুরিতে ৩ ইনিংসে ২৮১ রান করেছেন লিটন। প্রথম টেস্টে ৮৮ রানে থামলেও, দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরিসহ ১৪১ রান করেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে ৫২ রানের ইনিংস খেলা লিটনের ব্যাটিং গড় ৯৩ দশমিক ৬৬।
সিরিজে চতুর্থ সর্বোচ্চ রান শ্রীলঙ্কার দিনেশ চান্ডিমালের। ৩ ইনিংসে একটি করে সেঞ্চুরি ও হাফ-সেঞ্চুরিতে ২২৯ রান করেছেন তিনি। দুটি হাফ সেঞ্চুরিতে ১৪৮ রান করেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দিমুথ করুণারত্নে।
এদিকে ১৩ উইকেট নিয়ে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি লঙ্কান পেসার আসিথা ফার্নান্দো।
দুই টেস্টের ৩ ইনিংসে ১৩ উইকেট নিয়েছেন আসিথা। চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টে ৩ এবং ঢাকায় দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে ১০ উইকেট নেন তিনি। ঢাকা টেস্টের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন আসিথা।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১ উইকেট নিয়েছেন শ্রীলঙ্কার আরেক পেসার কাসুন রাজিথা। চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টে কনকাশন সাব হিসেবে খেলতে নেমে ৪ উইকেট নেন তিনি। চট্টগ্রামে দারুণ পারফরমেন্সের সুবাদে ঢাকা টেস্টের মূল একাদশে অনায়াসে জায়গা পান রাজিথা। সেখানেও নিজেকে মেলে ধরেন তিনি। প্রথম ইনিংসে ৫ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেট নেন রাজিথা।
৯ উইকেট নিয়ে তালিকার তৃতীয় স্থানে বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান। চট্টগ্রাম টেস্টের দুই ইনিংসে যথাক্রমে ৩ ও ১ উইকেট নিয়েছিলেন, ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেন সাকিব।
সেরা পাঁচের পরের দুটি স্থানে আছেন বাংলাদেশের দুই স্পিনার নাইম হাসান ও তাইজুল ইসলাম। ১ টেস্টে নাইম ৬ ও তাইজুল ২ টেস্টে ৫ উইকেট নিয়েছেন।
চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে নিজের ক্যারিয়ার সেরা ১০৫ রানে ৬ উইকেট নেন নাইম। দ্বিতীয় ইনিংসে উইকেট শুন্য থাকা এ বোলার আঙ্গুলের ইনজুরিতে পড়েন । যে কারেণ ঢাকা টেস্টে খেলতে পারেননি তিনি।