কাতার বিশ্বকাপ চলাকালে প্রতিদিন ২ লাখেরও বেশি যাত্রী বিমানে ভ্রমণ করবে বলে ধারণা করছে কাতার কর্তৃপক্ষ। মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে ভক্তদের পরিবহনের জন্য বেশ কয়েকটি শাটল ফ্লাইট চালুর প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা।
ফুটবল বিশ্বকাপের চার সপ্তাহ সবচেয়ে বেশি চাপ মোকাবিলার প্রস্তুতি নিচ্ছে উল্লেখ করে দেশটির পর্যটনমন্ত্রী আকবর আল বাকের এবং কাতার এয়ারওয়েজের প্রধান নির্বাহী জানান, সে সময় প্রয়োজনে ৩২ জাতির এই টুর্নামেন্টের বাইরে থাকা দেশগুলোর সঙ্গে বিমান চলাচল বন্ধ, কিংবা ফ্লাইট কমানো হবে।
বাকের বলেন, কাতারের হামাদ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর এবং পুরোনো দোহা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের এক দিনের ধারণ ক্ষমতা দ্বিগুণ করা হবে, যা গড়ে দুই লাখেরও বেশি। সমর্থকদের জন্য আবাসন তৈরিতেও হিমশিম খাওয়া কাতারের উপর চাপ কমাতে আগামী ২০ নভেম্বর থেকে দৈনিক ম্যাচ ভিত্তিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করবে সৌদিয়া, কুয়েত এয়ারওয়েজ, ফ্লাই দুবাই ও ওমান এয়ার। তারা প্রতিদিন ১৬০টিরও বেশি শাটল ফ্লাইট পরিচলানার উদ্যোগ নিয়েছে।
কর্মকর্তাদের ধারণা, শুধুমাত্র গালফভুক্ত প্রতিবেশী দেশগুলো থেকেই শাটলে করে প্রতিদিন ২ লাখ ফুটবল অনুরাগী দেশটিতে আসবে।
সৌদিয়ার প্রধান নির্বাহী ইব্রাহিম কোশি বলেছেন, তাদের এয়ারলাইন শুধুমাত্র রিয়াদ ও জেদ্দা শহর থেকে প্রতিদিন ৩০টি রাউন্ড ফ্লাইট পরিচালনা করবে। এতে বহন করা যাবে ১০ হাজার ভক্ত। ফ্লাই দুবাই পরিচালনা করবে অন্তত ৩০টি রিটার্ন ফ্লাইট। এ ছাড়া কুয়েত ১০টি এবং ওমান এয়ার ২৪টি ফ্লাইট পরিচালনা করবে।
যাদের কাছে বিশ্বকাপের টিকিট থাকবে, শুধু তাদেরকেই এসব ফ্লাইটে বহন করা হবে। সে সঙ্গে বায়োমেট্রিক তথ্য দেয়াসহ বিশেষ রেজিস্ট্রেশন থাকতে হবে।