ঢাকা টেস্টে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে আবারো ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। চতুর্থ দিন শেষে শ্রীলঙ্কার চেয়ে এখনও ১০৭ রানে পিছিয়ে রয়েছে স্বাগতিকরা। দিন শেষে ৩৪ রান তুলতে তারা হারিয়েছে ৪ উইকেট।
১ রানে অপরাজিত রয়েছেন লিটন দাস। তাকে ১৪ রানে সঙ্গ দিচ্ছেন মুশফিকুর রহিম।
দ্বিতীয় ইনিংসে শ্রীলঙ্কার করা ১৪১ রানের লিডের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৫ রানেই শুরু হয় বাংলাদেশের বিপর্যয়।
স্বাগতিকদের শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন আসিথা ফার্নান্দো। তামিম ইকবালকে রানের খাতা খোলার আগে ফেরান তিনি। ভাগ্য সহায় হয়নি নাজমুল হোসেন শান্তরও। রান আউট হয়ে মাত্র ২ রান করে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।
ব্যর্থতার বেড়াজাল ছিঁড়ে বের হতে ব্যর্থ হন মুমিনুল হক। আরও একবার তাকে মাঠ ছাড়তে হয় রানের খাতা খোলার আগেই।
ফার্নান্দোর দ্বিতীয় শিকার বনে মাঠ ছাড়েন মাহমুদুল হাসান জয়। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৫ রান।
এরপর আর দিনের বাকি সময়টাতে বিপদ ঘটতে দেননি মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। দিন শেষে ৩৪ রানের পুঁজি নিয়ে মাঠ ছাড়েন এই দুইজন।
এর আগে ৫ উইকেটে ২৮৫ রান নিয়ে বৃহস্পতিবার চতুর্থ দিন শুরু করেন দুই লঙ্কান ব্যাটার দিনেশ চান্ডিমাল ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। টানা দুই সেশন ব্যাট করেন তারা। বাংলাদেশি বোলারদের পাত্তা না দিয়ে দুজনই তুলে নেন সেঞ্চুরি।
আগে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ৫৮ রান নিয়ে শুরু করা ম্যাথিউস। সাবেক লঙ্কান অধিনায়কের ধৈর্যশীল ব্যাটে লিডে পৌঁছায় সফরকারী দল। অন্য প্রান্তে চান্ডিমালও ক্যারিয়ারের ১২তম টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নেন।
দুই ব্যাটারকে কোনো ধরনের চ্যালেঞ্জে ফেলতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা। সাকিব আল হাসান ছাড়া বাকিরা রানের চাকাও আটকে রাখতে পারেননি। ফলে দুই সেশনে ৫৮ ওভারে ১৭৪ রান যোগ করেন চান্ডিমাল ও ম্যাথিউস। ষষ্ঠ উইকেটে তাদের জুটি দাঁড়ায় ১৯৯ রানের। এর পরই এবাদতের বলে আউট হন চান্ডিমাল।
চা-বিরতি শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলে এবাদতকে ড্রাইভ করতে গিয়ে কাভারে তামিম ইকবালের হাতে ধরা পড়েন চান্ডিমাল। তার আগে অভিজ্ঞ এ ব্যাটারের ব্যাট থেকে আসে ১২৪।
এরপর ৯ রান করা ডিকভেলাকে আউট করেন সাকিব আল হাসান। লিটন দাসের হাতে কট বিহাইন্ড হন তিনি।
সাকিব-এবাদতের সামনে দাঁড়াতে ব্যর্থ হন রামেশ মেন্ডিস, প্রাভিন জয়াউইক্রামাও। যার ফলে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ৫০৬ রানের পুঁজি দাঁড় করায় শ্রীলঙ্কা।
বাংলাদেশের হয়ে পাঁচটি উইকেট নেন সাকিব আল হাসান। চারটি উইকেট ঝুলিতে পুরেন এবাদত হোসেন।