শুরুতে ছিলেন পুরোদস্তুর টপ অর্ডার ব্যাটার। সেখান থেকে ওপেনার। এই পজিশনে খুব একটা সন্তোষজনক রানের দেখা মিলছিল না জাতীয় দলের উইকেটকিপার ব্যাটার লিটন দাসের। ব্যাট হাতে ব্যর্থতার বেড়াজাল ছিঁড়ে বের হতেই পারছিলেন না ডানহাতি এই ব্যাটার।
এরপর ব্যাটিং অর্ডারের পরিবর্তন এনে তাকে নিয়মিত খেলানো হয় ৭ নম্বরে। এর পর থেকেই যেন খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসতে শুরু করেন লিটন। যার ফল চোখের সামনে।
চলতি বছর ৬টি টেস্টে লিটন খেলেছেন ৯টি ইনিংস। এর ভেতর তার রয়েছে ২টি সেঞ্চুরি। সেই সঙ্গে সাউথ আফ্রিকা সিরিজ বাদে নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা সিরিজে তার ব্যাট থেকে এসেছে দৃষ্টিনন্দন ইনিংস।
ব্যাটিং অর্ডারের পরিবর্তন এনে পারফরম্যান্স দেখাতে পারায় খুশি জাতীয় দলের এই ক্রিকেটার। নিজের ব্যাটিং পজিশন নিয়ে বেশ সন্তুষ্টও তিনি। মিরপুর টেস্টে তার ও মুশফিকুর রহিমের ২৭১ রানের রেকর্ড ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ভর করে খাদের কিনারা থেকে বড় সংগ্রহের পথ খুঁজে পায় বাংলাদেশ। এই ম্যাচে লিটন খেলেন ১৪১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস।
হোম অফ ক্রিকেটে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে লিটন বলেন, ‘আমি যে এ বছর রান করলাম। কততে নেমে করছি? ভালো আছি, যেখানেই আছি।’টপ অর্ডার হিসেবে আসলেও বনে গিয়েছেন পুরোদস্তুর লোয়ার মিডল অর্ডার ব্যাটার। দলে বাকিরা উপযুক্ত ব্যাটিং পজিশনে খেলছেন বলে তিনি নিজের ওপরের পজিশনে খেলার সম্ভাবনা দেখছেন না বলেও জানান তিনি।
লিটন বলেন, ‘আস্তে আস্তে আসতেছি তো, সুযোগ আসবে। যখন বড় ভাইরা কেউ না কেউ খেলবে না, তখন আমাকে সুযোগ দেওয়া হবে। এখন আমি সুযোগ দেখছি না ওপরে আসার মতো।’
তিনি আরও বলেন, ‘চেষ্টা তো সব সময় করি। কিন্তু কিছু সময় ব্যর্থ হই, কিছু সময় সফল হই। এটাই ক্রিকেট, এভাবেই চলতে থাকবে। আজকে ভালো করতেছি, কালকে আবার খারাপ হলে হতেও পারে। এটা মেনেই জীবন। এভাবেই চলতে থাকবে।’