চট্টগ্রাম টেস্টে আশা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত ড্র করে মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ। দুই দলের অধিনায়কের সম্মতিতে শেষ সেশনে ড্র হয় দুই ম্যাচ সিরিজের শেষ টেস্টটি।
বাংলাদেশের চেয়ে ২৯ রানে পিছিয়ে থেকে পঞ্চম দিনের খেলা শুরু করে লঙ্কানরা। চতুর্থ দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ৩৯ রান। সেখান থেকে শ্রীলঙ্কার স্কোর ৬ উইকেটে ২৬০ রানের সময় দুই অধিনায়ক ড্র মেনে নেন।
বৃহস্পতিবার পঞ্চম দিন ব্যাট করতে নেমে দেখেশুনে ব্যাট চালাতে থাকেন দিমুথ করুনারত্নে ও কুশল মেন্ডিস। দলকে এনে দেন কাঙ্ক্ষিত লিড।
লিড এনে দিয়ে দুই ব্যাটার ব্যাট চালানো শুরু করেন বড় ইনিংস খেলার লক্ষ্যে। ব্যক্তিগত ৪৮ রানে তাইজুল দিনের প্রথম আঘাত হানেন লঙ্কান শিবিরে; তুলে নেন কুশল মেন্ডিসের উইকেট।
এরপর স্কোরবোর্ডে ৪ রান যোগ করতে সফরকারীদের শিবিরে আবারও আঘাত হানেন এ স্পিনার। তুলে নেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের উইকেট। রানের খাতা খোলার আগে দুর্দান্ত এক ক্যাচে তাকে সাজঘরে ফেরান তাইজুল ইসলাম।
এরপর মধ্যাহ্ন বিরতির আগ পর্যন্ত আর বিপদ ঘটেনি সফরকারীদের। যার ফলে ১২৮ রান তুলে প্রথম সেশন শেষ করে শ্রীলঙ্কা।
বিরতি থেকে ফিরে লঙ্কান অধিনায়ক করুনারত্নেকে ৫২ রানে আউট করেন তাইজুল। লঙ্কানরা হারায় তাদের ৫ম উইকেট।
এরপর উইকেটে থিতু হয়ে বসা ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে ৩৩ রানে সাজঘরে ফেরান সাকিব আল হাসান। দ্বিতীয় ইনিংসে এটি ছিল তার প্রথম উইকেট। ডি সিলভার উইকেট পতনের পর সম্ভাবনা জাগে শ্রীলঙ্কাকে অল্পতেই অল আউট করে দেয়ার।
দৃশ্যপট বদলে দেন দিনেশ চান্ডিমাল ও নিরোশান ডিকভেলা মিলে। উইকেট কামড়ে ধরে ব্যাটিংয়ের মাধ্যমে কাল ক্ষেপণ করতে থাকেন। একই সঙ্গে ম্যাচের ফল নিয়ে যেতে থাকেন ড্রয়ের দিকে।
শেষ পর্যন্ত এই দুই ব্যাটারের কল্যাণে ২৬০ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা।
এর আগে প্রথম ইনিংসে আগে ব্যাট করতে নেমে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ৩৯৭ রানের পুঁজি পায় শ্রীলঙ্কা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ৪৬৫ রান তোলে বাংলাদেশ। ৬৮ রানে পিছিয়ে থেকে খেলতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে ২৬০ রান তোলে শ্রীলঙ্কা।