চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে লিড পেয়েছে বাংলাদেশ। সফরকারীদের ৩৯৭ রানের জবাবে ৪৬৫ রানে থামে স্বাগতিকদের ইনিংসের চাকা। বাংলাদেশ পায় ৬৮ রানের লিড।
তিন উইকেটে ৩১৮ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে দিনের প্রথম থেকে লঙ্কান বোলারদের দেখেশুনে খেলছিলেন মুশফিক ও লিটন দাস।
এদিন মুশফিকের সামনে লক্ষ্য ছিল প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে ৫ হাজারি ক্লাবে প্রবেশ করা। সেই সুযোগ লুফে নিতে বেশি সময় নেননি অভিজ্ঞ এ ব্যাটার।
বুধবার চতুর্থ দিনের খেলার প্রথম ৩০ মিনিটে মুশফিক প্রবেশ করেন পাঁচ হাজার রানের ক্লাবে। সেই সঙ্গে দলকে টেনে নিয়ে যেতে থাকেন লিডের দিকে। এ সময় ধৈর্যশীল ব্যাটিংয়ের মাধ্যমে তাকে সঙ্গ দিয়ে দলকে এগিয়ে নেয়ার কাজে সাহায্য করেন লিটন দাস।
শেষ পর্যন্ত লঙ্কার চেয়ে ১২ রানে পিছিয়ে থেকে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। আর সেই সঙ্গে পার করে দুর্দান্ত এক সেশন।
বিরতির পর বদলে যায় দৃশ্যপট। বিরতি থেকে ফেরার পর কাসুন রাজিথার ওভারের প্রথম বলে দিকভেলার হাতে ক্যাচ তুলে দেন ৮৮ রান করা লিটন।
লিটনের বিদায়ের পর আগের দিনের ইনজুরিতে পড়া তামিম নামেন মাঠে। ১৩৩ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। মাঠে নেমে প্রথম বলে তাকে ফের ফিরতে হয় সাজঘরে। রাজিথার দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে স্টাম্প হারান তামিম।
দল তখন লিড থেকে মাত্র ১২ রান দূরে। এরপর মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসানের ব্যাটে ভর করে লিড পায় বাংলাদেশ।
শুরুটা ভালো করলেও শেষটা ভালো করতে পারেননি সাকিব। ২৬ করে উইকেটের পেছনে আভিস্কা ফার্নান্দোর হাতে ধরা দিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।
তবে উইকেট আগলে ধরে রেখে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন মুশফিক। তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের অষ্টম শতক। প্রায় দুই বছর পর সেঞ্চুরির দেখা পেলেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। ইনিংসের হিসেবে সেটি ১৯ ইনিংস পর।
জাতীয় দলের জার্সি গায়ে টেস্ট ক্রিকেটে ২০২০ সালের নভেম্বরে সবশেষ সেঞ্চুরির দেখা পান জাতীয় দলের উইকেকিপার ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। সেঞ্চুরি করতে মুশফিক খেলেছেন ২৭০ বল।
তবে সেঞ্চুরির পর বেশিদূর যাওয়া সম্ভব হয়নি মুশফিকের পক্ষে। ১০৫ রানে তাকে থামিয়ে দেন লাসিথ এম্বুলদেনিয়া।
এরপর নিয়মিত উইকেট পতনের মধ্য দিয়ে ৪৬৫ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংসের চাকা। স্বাগতিকরা পায় ৬৮ রানের লিড।