জুন থেকে বেশ ব্যস্ত সময় পার করতে হবে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারদের। সূচি এতোটাই ঠাসা যে একই সময় নিউজিল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে দুই দল নিয়ে খেলতে হবে তাদের।
২ জুন থেকে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শুরু করবে ইংল্যান্ড। ১০ জুন মাঠে গড়াবে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টটি। আর ২৩ জুন শুরু হবে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্ট।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ চলাকালীন নেদারল্যান্ডসের মাটিতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ রয়েছে ইংল্যান্ডের। ডাচদের বিপক্ষে ১৭ থেকে ২২ জুন ওয়ানডে সিরিজ খেলবে ইংলিশরা।
সে কারণে ইংল্যান্ডের পৃথক দু’টি দলকে একই সময়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টেস্ট ও ওয়ানডে খেলতে হবে।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ শুরুর পরের ১০২ দিনে ৫০টি ম্যাচ খেলবে ইংল্যান্ড। ২ জুন থেকে ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৫০টি ম্যাচ খেলবে ইংলিশরা। ক্রিকেটের এই ঠাসা সূচিকে ‘অযৌক্তিক’ মনে করছেন স্টোকস।
দ্য গার্ডিয়ানকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে স্টোকস বলেন, ‘সূচির দিকে আইসিসির নজর দেয়া উচিত। সূচিতে যে পরিমাণ ক্রিকেট আমাদের খেলা লাগবে, সেটি একেবারেই যুক্তিসঙ্গত নয়। একই সময়ে একটি টেস্ট ও একটি ওয়ানডে সিরিজ চলবে, এটিই বলে দিচ্ছে কতটা ঠাসা সূচি। কাজের চাপের বিষয়টা ম্যানেজমেন্টের দেখা উচিত।’
তবে ব্যস্ত সূচি হলেও ইংল্যান্ডের হয়ে সবগুলো ম্যাচ খেলতে চান স্টোকস। তবে সব ম্যাচ খেলার ইচ্ছা থাকলেও টেস্টের প্রতি বিশেষ নজর তার।
স্টোকস বলেন, ‘আমি ইংল্যান্ডের হয়ে যতটা সম্ভব ম্যাচ খেলতে চাই এবং আমি আশাবাদী সঠিক পরিস্থিতি আমাকে খেলার সুযোগ করে দিবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তা সম্ভব নয়। এই মুর্হূতে আমার কাছে টেস্ট ক্রিকেটই প্রথম পছন্দ। তাই সীমিত ওভারের ক্রিকেট থেকে টেস্টকে অগ্রাধিকার দিতে হবে আমাকে।’