টানা খেলায় শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেট রীতিমতো ক্লান্ত। উইকেটের বর্তমান হাল দেখে বোঝার উপায় নেই যে এখানে আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয়।
শেরে বাংলার ঘূর্ণি উইকেটে বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয় করেছিল। জয় পায় ইংল্যান্ডের মতো পরাশক্তির বিপক্ষে। কিন্তু হোম অফ ক্রিকেটের লো উইকেটে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে বিশ্বকাপের স্পোর্টিং উইকেটে বাংলাদশের যেই বাজে হাল হয়েছিল সেটি এখন রেকর্ড বইয়ের অংশ।
ক্লান্ত এই উইকেটে বল লাফানোর সক্ষমতা নেই। নিচু ও অসম বাউন্সের কলঙ্কে কলঙ্কিত শেরে বাংলার উইকেট।
লম্বা সময় ধরে বিসিবি শেরে বাংলার উইকেট নতুন করে তৈরির কথা বললেও বাস্তবায়ন হয়নি। বারবার কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হচ্ছে শেরে বাংলার উইকেটকে। আর এই দায় প্রতিবার নিতে হয়েছে মাঠের শ্রীলঙ্কান কিউরেটর গামিনি ডি সিলভার ওপর।
উইকেটের এই বাজে হালের জন্য গামিনির দায় নেই বলে সাফ জানিয়েছেন গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান মাহাবুব আনাম। দায়টা সুকৌশলে বোর্ডের ওপরও সমানভাবে চাপিয়েছেন তিনি।
মাহাবুব বলেন ‘দায়টা আমি নেব। বোর্ড হিসেবে আমাদের নেওয়া উচিত। কাউকে যদি ব্যক্তিগতভাবে দোষ দেন সেটা অন্যায় হবে। কারণ এই মাঠে আমাদের যে জয়গুলো আছে, সেই জয়ের মালাটা আমরা অন্যকে পরাতে পারি। মালাটা কিন্তু আমরাই নেই।
‘আমরা ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার মতো পরাশক্তির বিরুদ্ধে টেস্ট জয় করেছি। আমরা নিউজিল্যান্ডকে একই মাঠে হারিয়েছি। মোটামুটি সব দলের বিপক্ষে জিতেছি। এরপরও যে সমালোচনা হয়, তা অজ্ঞতার কারণে হয়। যদি বৈজ্ঞানিক কারণগুলো উপলব্ধি করি তাহলে অনেক কিছু আমাদের কাছে আরও ভালো শোনাবে।’
শেরে বাংলার লো উইকেটকে আধুনিক মানের উপযোগী করে তোলার জন্য নতুন করে উন্নত মাটি খুঁজছে বোর্ড। মাটির সন্ধান পেলে দ্রুত উইকেট পরিবর্তন করা হবে বলেও মন্তব্য করেন মাহাবুব আনাম।
মাহবুব বলেন ‘আমাদের দেশে উইকেট বানাতে যে মাটি দরকার, মাটিতে যে আঠালো ভাব থাকা দরকার সেটা সব জায়গায় পাওয়া যায় না। মিরপুরে উইকেটটা কালো মাটি দিয়ে বানানো। এই উইকেট আমরা পার্থের কিউরেটরকে দিয়ে বানিয়েছি। বগুড়ার উইকেটে আরও ব্রাউন মাটি, চট্টগ্রামেরটায় আরও এঁটেল মাটি সংযুক্ত।
তিনি আরও বলেন, ‘এখানের মাটি কাটাটাও কঠিন। আমরা এ মাটি বছরের মাসখানেক সময় পাই। তাও নদীর নিচে। তাই এটা পাওয়াও কঠিন। আমরা ভালো মাটি পাওয়ার চেষ্টায় আছি।’