ভিয়ারিয়ালের মাঠে ২ গোলের লিড নিয়ে নেমেছিল লিভারপুল। ছয়বারের ইউরোপ সেরাদের স্বস্তি প্রথমার্ধে মুছে দেয় ভিয়ারিয়াল। তবে দ্বিতীয়ার্ধে অসাধারণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে লিভারপুল।
ভিয়ারিয়ালের মাঠে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগ ৩-২ গোলে জিতে নিয়েছে লিভারপুল। প্রথমার্ধে ২-০ গোলে পিছিয়ে ছিল সফরকারী দল। কিন্তু বিরতির পর ফাবিনিয়ো, লুইস দিয়াজ ও সাদিও মানের গোলে জয় নিশ্চিত হয় ইংলিশ জায়ান্টদের।
এল মাদ্রিগাল স্টেডিয়ামে বুলায়ে দিয়ার ৩ মিনিটের গোলে আত্মবিশ্বাস পায় ভিয়ারিয়াল। সেটি বেড়ে যায় বহুগুনে যখন ৪১ মিনিটে দলের দ্বিতীয় গোল করেন ফ্রান্সিস কোকেলা। ২-০ গোলে প্রথম লেগ জেতা লিভারপুল দুই গোল হজম করে বিপাকে পড়ে। ম্যাচে অ্যাগ্রেগেট স্কোর তখন ২-২।
কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ায় লিভারপুল। উপহার দেয় রুদ্ধশ্বাস ফুটবল। হারের মুখে থাকা লিভারপুল ৬২ থেকে ৭৪ এ ১২ মিনিটে ৩ গোল করে পাল্টে দেয় সব হিসাব।
৬২ মিনিটে শুরুটা করেন ফাবিনিও। ৫ মিনিট পর লিভারপুলের হয়ে দ্বিতীয় গোল করেন দিয়াজ। আর ৭৪ মিনিটে ম্যাচ ভিয়ারিয়ালের হাতের নাগাল থেকে বের করে নেন মানে।
শেষ পর্যন্ত ৩-২ ব্যবধানে দ্বিতীয় লেগ ও ৫-২ গোলে সেমিফাইনাল জিতে ফাইনালে পৌঁছায় ইয়ুর্গেন ক্লপের লিভারপুল।
ম্যাচ শেষে উচ্ছ্বসিত ক্লপ সংবাদমাধ্যমকে বলেন তার কাছে মনে হচ্ছে প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে উঠেছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘মনে হচ্ছে প্রথম ফাইনালে খেলতে যাচ্ছি কারণ চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল সবসময়ই বিশেষ কিছু। বিশ্বের সেরা ক্লাব প্রতিযোগিতা এটি। ভিয়ারিয়ালকে সাধুবাদ জানাই। দারুণ একটা স্টেডিয়াম ও এখানে তারা যা করে সেটা অবিশ্বাস্য। আমাদের জন্য ম্যাচটা অনেক কঠিন ছিল।’
ফাইনালে লিভারপুলের প্রতিদ্বন্দ্বি কে হবে তা নির্ধারিত হবে আজ রাতে। রিয়াল মাদ্রিদের মাঠে দ্বিতীয় সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে খেলতে নামছে ম্যানচেস্টার সিটি। প্রথম লেগ ৪-৩ গোলে জিতে কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থায় আছে সিটি।