ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ লিস্ট-এ তালিকাভুক্ত হওয়ার মৌসুমে টুর্নামেন্টে অংশ নিতে এসেছিলেন ইংলিশ ক্রিকেটার লুক রাইট। সে সময় ম্যাচ সেরার পুরস্কার হিসেবে তাকে দেয়া হয়েছিল একটি ব্লেন্ডার। ঘটনাটি ২০১৩ সালের।
একই আসরে আরেক ইংলিশ ক্রিকেটার ওইন মরগান ম্যাচ সেরার পুরস্কার হিসেবে পেয়েছিলেন রাইস কুকার। একটি দেশের প্রথম সারির ঘরোয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টের পুরস্কারের এই হাল।
সেই ব্লেন্ডার, রাইস কুকারের অধ্যায় পেছনে ফেলে ডিপিএলে লম্বা সময় পর এসেছে আর্থিক পুরস্কারের রীতি। চলতি ডিপিএলের লিগ পর্বে ম্যাচ সেরার পুরস্কার শুধু ট্রফিতে সীমাবদ্ধ থাকলেও সুপার লিগ লিগ থেকে শুরু হয়ে প্রাইজমানি দেয়া। সেটি আবার মাত্র ৫ হাজার টাকা।
এই প্রাইজমানি ভারত, পাকিস্তান এমনকি শ্রীলঙ্কার প্রথম সারির ঘরোয়া টুর্নামেন্টের চেয়ে বহুগুণে নগণ্য।
কেনো আমাদের দেশের শীর্ষস্থানীয় ঘরোয়া টুর্নামেন্টের প্রাইজমানির এই দশা? বিষয়টি নিয়ে সিসিডিএম (ক্রিকেট কমিটি অফ ঢাকা মেট্রোপলিস) সমন্বয়ক আমিন খানের সঙ্গে কথা বলা হলে তিনি জানান, টুর্নামেন্টের টাইটেল স্পন্সর ঠিক করে ম্যাচ সেরার পুরস্কার কী হবে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবির) ডিপিএলের সাথে জড়িত বলে কিছুটা দায় নিজেদেরও স্বীকার করছেন এই কর্মকর্তা। এমনকি ভবিষ্যতে আরেকটু ভালো পরিমাণ অর্থ থাকবে বলেও আশ্বাস দেন।
তিনি বলেন, ‘আসলে নিয়ম অনুসারে ম্যাচ সেরার পুরস্কার কী হবে বা কী পরিমাণ অর্থ হবে সেটা নির্ধারণ করে থাকে টুর্নামেন্টের টাইটেল স্পন্সর প্রতিষ্ঠান। কিন্তু যেহেতু এটি বোর্ডের সাথে সম্পৃক্ত টুর্নামেন্ট সেহেতু আমাদেরও আরেকটু সচেতন হওয়া যেত।’
তিনি আরও বলেন, ‘বোর্ডের মর্যাদার একটা বিষয় জড়িয়ে আছে। আমরা ইতোমধ্যে টাইটেল স্পন্সরের সাথে কথা বলেছি, আলাপ আলোচনা হচ্ছে। আগামী মৌসুমে অবশ্যই এটা পরিবর্তন হবে, অন্তত একটা ভালো মানের আর্থিক অঙ্ক থাকতে পারে।’