বাংলাদেশ দল বরাবরই বলে এসেছে ওয়ানডে ফরম্যাটই ক্রিকেটে তাদের সবচেয়ে বড় শক্তির জায়গা। শুধু মুখে বলাই নয়, গত এক দশকে টাইগাররা বিশ্বের অন্যতম সেরা ওয়ানডে দল হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করেছে। ওয়ানডে দলের অধিনায়ক তামিম ইকবালের মতে, এই দল নিয়ে বিশেষ কিছু অর্জন করা সম্ভব।
২০২৩ সালে ভারতে বসছে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। তার আগে দলের ছোটোখাটো ত্রুটিগুলো সেরে নিতে পারলে বড় লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে টাইগাররা- এমন বিশ্বাস তামিমের। বিশেষ করে সাউথ আফ্রিকার সাম্প্রতিক সিরিজ জয় আত্মবিশ্বাস দিচ্ছে তাকে।
ভারতীয় এক ক্রিকেট সাইটকে তামিম বলেন, ‘এই সিরিজের আগে সাউথ আফ্রিকায় আমরা সব ফরম্যাটেই নাস্তানাবুদ হতাম। এবারে আমরা ওয়ানডে সিরিজ জিতেছি।
‘ওয়ানডে আমরা অনেক সাফল্য পেয়েছি। দলকে উন্নত করতে এটি সাহায্য করছে। দলে জায়গা পাওয়ার জন্য অনেক কঠিন প্রতিযোগিতার মুখে পড়তে হয়। টেস্ট বা টি-টোয়েন্টিতে আমাদের সাফল্য এক রকম নয়।’
যেকোনো সিরিজে ভালো শুরু করাটা জরুরি বলে মনে করেন তামিম। অভিজ্ঞ এ ওপেনারের মতে, ব্যাট বা বল হাতে দারুণ শুরুর পর ড্রেসিং রুম ম্যাচ জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে।
তামিম বলেন, ‘ভালো ব্যাটিং বা বোলিং করে কোনো সিরিজ শুরু করলে সেটা পুরো সিরিজেই আমাদের ছন্দ বজায় রাখতে সাহায্য করে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এটা সবসময়ই সত্য। আমি সবসময় বলে এসেছি, আমাদের ফিল্ডিংয়ে অনেক উন্নতি করতে হবে। সাউথ আফ্রিকায় আমরা দু-একটি ক্যাচ হয়তো ছেড়েছি। কিন্তু সবমিলিয়ে আমার মতে দারুণ ফিল্ডিং করেছি আমরা।’
ওয়ানডে দলের ভালো করার জন্য সাকিব আল হাসানের পাশাপাশি অলরাউন্ডার হিসেবে মেহেদী মিরাজের উঠে আসাকেও অন্যতম কারণ হিসেবে দেখছেন তামিম। এই দুজনের ওপর ভবিষ্যৎ সাফল্যের অনেকাংশই নির্ভর করবে বলে অভিমত তার।
তিনি বলেন, ‘সাকিব যেভাবে প্রথম ওয়ানডেতে ব্যাট করেছে, সেটা সবাইকে সঠিক ছন্দ এনে দিয়েছে। তৃতীয় ওয়ানডেতে যেভাবে সাকিব খেলেছে, সেটা করতে অনেক বড় হৃদয় লাগে, যা তার আছে। আমি তাকে ধন্যবাদ দিয়েছি ম্যাচ শেষে।
‘মিরাজ কিছুটা ভিন্ন। ও আমাদের অন্যতম সেরা ওয়ানডে বোলার। বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে বোধহয় তিন-চারে আছে। কিন্তু ও খুব আন্ডাররেটেড। ও ব্যাট হাতেও উন্নতি করেছে। মিরাজ যদি আরও উন্নতি করে তাহলে সে আর সাকিব মিলে আমাদের দলকে অনেকটাই মজবুত করতে পারবে।’