ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) এক মৌসুমে ১,০০০ রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের ব্যাটার এনামুল বিজয়। ২০১৩ সালে ডিপিএল লিস্ট-এ অন্তুর্ভুক্ত হবার পর এটিই প্রথম এক মৌসুমে হাজার রানের মাইলফলক।মঙ্গলবার বিকেএসপিতে ডিপিএলের সুপার লিগের রূপগঞ্জ টাইগার্সের বিপক্ষে ম্যাচ চলাকালীন রেকর্ড বুকে নাম তোলেন বিজয়। এর আগে ডিপিএলে সর্বোচ্চ রানের মালিকানা ছিল সাইফ হাসানের।২০১৮-১৯ মৌসুমে প্রাইম দেলেশ্বরের হয়ে সাইফ করেন ৮১৪ রান। বিজয়ের ১,০০০ রান ছোঁয়ার আগ পর্যন্ত সাইফই ছিলেন এক টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।বিজয় রূপগঞ্জের বিপক্ষে নামেন হাজার রানের মাইলফলক থেকে ৭০ রান দূরে থেকে। এই ম্যাচের আগে ১৩ ইনিংসে ৭১.৫৩ গড়ে ৯৩০ রান ছিল বিজয়ের। ২ সেঞ্চুরি ও ৮ ফিফটি করেন আগেই। মঙ্গলবার চলতি আসরে ব্যক্তিগত ৯ম ফিফটি করা বিজয় পার করেছেন হাজার রানের গন্ডি।২০১৮-১৯ মৌসুমে ১৬ ম্যাচ খেলে ৬২.৬১ গড়ে ৮১৪ রান করেছিলেন সাইফ। ৭৯.৩৩ গড়ে রান করা এ ব্যাটারের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস ছিল অপরাজিত ১৪৮ রানের।ওই মৌসুমে সাইফের কাছাকাছি গিয়েও তাকে ছুঁতে পারেননি নাইম শেখ। ৩ সেঞ্চুরি ও ৫ ফিফটিতে নাইমের রান ছিল ৮০৭।নাঈম শেখ ও সাইফ হাসানকে চলতি আসরে টপকে গেছেন মোহাম্মদ নাঈম। লিজেন্ডস অফ রূপগঞ্জের হয়ে ১৪ ইনিংসে ৬৪.৩১ গড়ে ৮৩৬ রান করেছেন তিনি।এর আগে ডিপিএলে হাজারি ক্লাবে নাম লিখিয়েছিলেন কেবল দুইজন। স্টিভ টিকোলো ও গাজী আশরাফ লিপু। কেনিয়ার ব্যাটার টিকোলো ২০০১ সালে মোহামেডানের হয়ে খেলতে নেমে ১৬ ইনিংসে করেন ১,২২৭ রান।আর জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক গাজী আশরাফ ১৯৮৫-৮৬ মৌসুমে আবাহনীর হয়ে করেন ১,০০৮ রান। তবে দুটি রেকর্ডই ডিপিএলকে লিস্ট-এ তালিকাভুক্ত করার আগের। যে কারণে তাদের কীর্তি রেকর্ডবুকে জায়গা পায়নি।