মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে শুক্রবার রাতে রাজস্থান রয়্যালসের রানবন্যার ম্যাচে নো বল বিতর্কের পরও হেরেছে মুস্তাফিজুর রহমানের দিল্লি ক্যাপিটালস।
রাজস্থানের দেয়া ২২৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২০৭ রানেই থেমে যায় যায় দিল্লির রানের চাকা। আর তাতেই রাজস্থান পায় ১৫ রানের দুর্দান্ত এক জয়।
মুম্বাইয়ে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই দিল্লির বোলারদের ওপর আগ্রাসী হয়ে ওঠেন জশ বাটলার ও দেবদূত পাড্ডিক্যাল। উদ্বোধনী জুটি থেকেই তারা গড়েন ১৫৫ রানের জুটি। সেখানে অনবদ্য সেঞ্চুরি ছিল জশ বাটলারের।
দেড় শ রানের জুটি গড়ে পাড্ডিক্যাল ফিরে গেলেও মুস্তাফিজদের তুলোধুনা অব্যাহত রাখেন জশ বাটলার। দলীয় ২০২ রানে যখন ফিজের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন, তখন তার ব্যক্তিগত সংগ্রহ ৬৫ বলে ১১৬ রান।
শেষের দিকে সাঞ্জু স্যামসনের ১৯ বলে ৪৯ রানের টর্নেডো ইনিংসে ভর করে দিল্লির সামনে ২২২ রানের পুঁজি দাঁড় করায় রাজস্থান।
দিল্লির হয়ে ৪৩ রানে ১ উইকেট নেন মুস্তাফিজ। আর ৪৭ রানে এক উইকেট নেন খালিল আহমেদ।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত উইকেট পতনের পরও জয়ের পথেই হাঁটছিল দিল্লি। শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ৩৬ রান, যা এক প্রকার অসম্ভবই ছিল।
সেই অসম্ভব কাজটিই প্রায় সম্ভব করে ফেলেছিলেন দিল্লির মিডল অর্ডার ব্যাটার রভম্যান পাওয়েল। প্রথম তিন বলে তিন ছয়ে জয়ের সমীকরণ মেলানোর পথে হাঁটছিলেন ক্যারিবীয় এই ক্রিকেটার। চলছিল সব ঠিকঠাকই, কিন্তু ছন্দপতন ঘটে ওভারের তৃতীয় বলে ঘটে যাওয়া এক ঘটনায়।
সেই বলটি পাওয়েলের কোমরের উচ্চতায় উঠে গেলেও ‘নো’ ডাকেননি আম্পায়ার। সাধারণত ব্যাটারের কোমরের উচ্চতায় বল সরাসরি গেলে সেট উচ্চতার জন্য নো বল ডাকার কথা আম্পায়ারের, কিন্তু সেটি লিগ্যাল ডেলিভারি দেন আম্পায়ার।
আর বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষণিক উত্তেজনা ছড়ায় দিল্লি ক্যাপিটালসের ডাগআউটে। উত্তেজিত হয়ে দিল্লির অধিনায়ক ঋষভ পন্থ একপর্যায়ে দুই ব্যাটারকে মাঠ থেকে বেরিয়ে আসার ইশারাও করেন বেশ কয়েকবার। আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত বদলায়নি এরপরও।
ওই ঘটনার পর খেই হারিয়ে ফেলেন পাওয়েল। শেষ পর্যন্ত ১৫ রানের পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।