সাউথ আফ্রিকার মাটিতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ক্লিন সুইপ হওয়ার পর নেতৃত্ব নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মুমিনুল হক। তবে দেশে ফিরে তিনি জানান এমন সমালোচনা তাকে বাড়তি চিন্তায় ফেলছে না।দেশে ফেরা প্রথম বহরের সদস্য হিসেবে বুধবার ঢাকায় পা রাখেন মুমিনুল। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘ফল এনে দিতে না পারলে বিশ্বের যে কোন অধিনায়ক চাপে থাকবেন। রুটের দিকে তাকান। সে ৭ম্যাচে ৬টি সেঞ্চুরি করেছে। কিন্তু দল জিততে না পারায়, প্রচন্ড চাপের মধ্যে আছেন তিনি।’২০১৯ সালে অধিনায়কত্ব নেয়ার পর ১৫ টেস্টে ৩৪.৬৫ গড়ে ৯০১ রান করেছেন মুমিনুল। অধিনায়ক হবার আগে তার ব্যাটিং গড় ছিল ৪১.৪৭। পরিসংখ্যানে সবকিছু পরিস্কার থাকলেও পরিস্থিতি সামলে নেয়ার মানসিকতা তার আছে বলে জানান মুমিনুল।
বলেন, ‘অধিনায়কত্ব এমন একটি জিনিস, যদি আপনি পারফর্ম করতে না পারেন তবে চাপ আপনাকে আঁকড়ে ধরবে। ওই ধরনের চাপ নেয়ার মত মানসিকতা থাকতে হবে। তাই এটা নিয়ে আমি চিন্তিত নই। একটি দেশের প্রতিনিধিত্ব করছি আমি। তাই আমাকে চাপ নিতে হবে।’
মুমিনুল আরও জানান, টেস্ট ক্রিকেটে উন্নতির শেষ নেই। এখনও অনেক গুলো বিষয়ের দলের উন্নতি দরকার স্বীকার করলেন অধিনায়ক।তিনি বলেন, ‘আমরা ওয়ানডে সিরিজ জিতেছি, যা একটি ইতিবাচক দিক। টেস্ট ক্রিকেটের কথা বললে, উন্নতির শেষ নেই। টেস্ট ওয়ানডে ক্রিকেটের মতো নয়। শেখার ও উন্নতি করার অনেক জায়গা আছে। আমাদের জানতে হবে, কিভাবে প্রতিটি সেশনে প্রতিপক্ষের উপর আধিপত্য বিস্তার করা যায়। কিভাবে বাজে পরিস্থিতি থেকে ফিরে আসা যায়, কিভাবে নতুন বল এবং পুরনো বলে বোলিং করতে হয়। প্রতিটি সিরিজ থেকে শিখছি। ভুলগুলো সংশোধন করতে হবে। আমাদেও জানতে হবে, কিভাবে ভালোভাবে পরিকল্পনা কার্যকর করতে হয়।’
তবে মুমিনুলের মতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের পর টেস্ট দলকে নিয়ে প্রত্যাশা অনেকখানি বেড়ে গেছে।
তিনি বলেন, ‘প্রত্যাশা বেশি ছিল। আপনারা ভেবেছিলেন, নিউজিল্যান্ডে জয়ের পর আমরা এক নম্বর দল হয়ে গেছি। এটা একটা ভুল চিন্তা। ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশ একটি ভারসাম্যপূর্ণ দল। টেস্টে বাংলাদেশ কখনওই ভারসাম্যপূর্ণ দল ছিলো না। আমরা যেখানে ছিলাম, সেখানেই আছি।’