উপমহাদেশের দল হিসেবে স্পিনের বিপক্ষে স্বাচ্ছন্দ্য বাংলাদেশ। মোহাম্মদ রফিক, সাকিব আল হাসানের মতো বিশ্বসেরা স্পিনাররাও টাইগার ক্রিকেট ইতিহাসের অংশ। পেইস সহায়ক উইকেট না থাকায় স্পিনারের সংখ্য ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশি। ব্যাটাররা স্পিন খেলেই অভ্যস্ত।এই বাংলাদেশই বিদেশের মাটিতে সংগ্রাম করছে স্পিনের বিপক্ষে। সাউথ আফ্রিকার দুই স্পিনার কেশাভ মহারাজ ও সায়মন হারমারের ঘূর্ণিতে দুই টেস্টেই কাবু সাদমান-শান্তরা। পোর্ট এলিজাবেথে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের চতুর্থ দিন শুরু হওয়ার আগে এ দুজনের কল্যাণে ধুঁকছে।
এ বিষয়টিই পোড়াচ্ছে বাংলাদেশের ম্যানেজমেন্টকে। টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন আক্ষেপ করে তৃতীয় দিনের ম্যাচ শেষে জানালেন, স্পিনে কেন পরাস্ত হলো বাংলাদেশের ব্যাটাররা, সেটি বোধগম্য নয় তার কাছে।
তিনি বলেন, ‘এখানে স্পিন কেন সামলাতে পারলাম না এটাই আমাদের জন্য বড় দুঃখ। স্পিনে আমরা আরও ভালো ক্রিকেট খেলি। আমাদের স্পিনাররাও তাদের ব্যাটারদের সমস্যায় ফেলতে পেরেছে। তাইজুল পাঁচ উইকেট নিয়েছে, মিরাজ ভালো বল করেছে।‘মহারাজ কিংবা হারমার যতটা সমস্যায় ফেলেছে আমাদের ব্যাটারদের সে অর্থে আমাদের স্পিনাররা অতটা সমস্যায় ফেলতে পারেনি ওদের ব্যাটারদের।’
শুধু স্পিন খেলার ব্যর্থতা নয়, পরিকল্পনার ব্যর্থতার কারণেও ম্যাচ হারের মুখোমুখি বাংলাদেশ- এমনটা মনে করছেন টাইগারদের সাবেক এ অধিনায়ক।
সুজন বলেন, ‘আমরাও প্ল্যান করেছি। কিন্তু সেটা প্রয়োগের যথেষ্ট অভাব ছিল। গত টেস্টে ও এই টেস্টে প্রথম দুই ঘণ্টা আমার যেভাবে বল করার পরিকল্পনা ছিল সেভাবে করতে পারিনি। সেখান থেকে ম্যাচ অনেক দূরে সরে গেছে। সকালে যদি শুরুর দিকে আমরা দুটি উইকেট নিতে পারতাম, তাহলে ভিন্ন কিছু হতে পারত।’