সাউথ আফ্রিকার ছুড়ে দেয়া ৪১৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বড় ব্যবধানে হারের শঙ্কা নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেট খরচায় ২৭ রান। ৫ রানে ক্রিজে রয়েছেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। সোমবার চতুর্থ দিনের শুরু থেকে তাকে সঙ্গ দেবেন মুশফিকুর রহিম।
বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের তৃতীয় বলেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। রানের খাতা খোলার আগেই তাকে সাজঘরের পথ দেখিয়ে দেন কেশভ মহারাজ।
ইনিংসের তৃতীয় ওভারে মহারাজের দ্বিতীয় শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন নাজমুল হোসেন শান্ত। মাঠ ছাড়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৭ রান।
আর দিনের শেষ সময়ে হার্মার থামিয়ে দেন তামিম ইকবালকে। ২২ বলে ১৩ করে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
এর আগে ২৩৬ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে ৬ উইকেট খরচায় ১৭৬ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে প্রোটিয়ারা। আর তাতে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪১৩ রান।
বড় ব্যবধানে এগিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটা ভালো করে প্রোটিয়ারা। দুই ওপেনার সারেল এরউই ও ডিন এলগারের ব্যাটে উদ্বোধনী জুটিতে ৬০ রান তোলে স্বাগতিকরা।
১২তম ওভারে আঘাত হানেন তাইজুল। ২৬ রান করা ডিন এলগারকে সরাসরি বোল্ড করেন তিনি।
বিরতির ঠিক আগ মুহূর্তে তাইজুলের স্পিন ভেলকিতে ১৪ রান করে মাঠ ছাড়েন কিগান পিটারসেন। এতে করে ৮৪ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় স্বাগতিক দল।
চা-বিরতির পর খালেদ আহমেদ থামান এরইউকে। মুমিনুল হকের হাতে ধরা দিয়ে ৪১ রানেই সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে।
এরপর তাইজুলের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন রায়ান রিকেলটন। ১২ রানে সাজঘরে ফেরেন এই ব্যাটার। আর তাতেই ১১৯ রানে চতুর্থ উইকেটের পতন ঘটে প্রোটিয়াদের।
বিপজ্জনক হয়ে ওঠার আগে ৩০ রানেই মিরাজ ফেরান টেম্বা বাভুমাকে। সাউথ আফ্রিকার স্কোর তখন ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৫৪ রান।
এরপর মিরাজের দ্বিতীয় শিকার বনে মালডারের বিদায়ের পর ইনিংস ঘোষণা করে সাউথ আফ্রিকা। আর বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য ছুড়ে দেয় ৪১৩ রানের।