২০১৭ সালের জুনে টেস্ট স্ট্যাটাস পায় আফগানিস্তান ক্রিকেট দল। পরের বছর খেলে প্রথম টেস্ট। সে থেকে চার বছরে আফগানিস্তানের খেলা টেস্ট মাত্র ৬টি। অর্থাৎ ৫ বছরে মাত্র ৬ বার সাদা পোশাকে মাঠে নেমেছেন আফগানরা।
এ বিষয়টি হতাশ করছে রাশিদ খানকে। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বিশ্বের সেরা লেগস্পিনার তিনি। সে তুলনায় লঙ্গার ভার্সনে নিজের দক্ষতা দেখানোর সুযোগ পেয়েছেন হাতে গোনা কয়েক দফা।যে ৫টি টেস্ট খেলেছেন সেগুলোতে ২২.৩৫ গড়ে ৩৪টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। যে কারণে তার আক্ষেপ আরও বেশি। রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে রাশিদ বলেন, ব্যক্তিগতভাবে ও দল হিসেবে তারা আরও টেস্ট খেলতে চান।ফর্মের তুঙ্গে থাকা অবস্থায় টেস্ট খেলতে পারছেন না উল্লেখ করে রাশিদ যোগ করেন, ‘নিজের বোলিং সম্বন্ধে আরও জানতে লম্বা স্পেলে বল করা দরকার। আশা করি, আগামী কয়েক বছরে আমরা আরও টেস্ট ম্যাচ খেলার সুযোগ পাব।’
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টেস্টে পথচলা শুরু আফগানিস্তানের। এরপর বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট খেলে আফগানরা।
বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১টি করে জয় আছে রাশিদ-মুজিবদের। তবে দীর্ঘদিন ধরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট খেলার স্বপ্ন ঝুলে আছে আফগানদের।
২০২০ সালের ডিসেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে টেস্ট খেলার কথা ছিল আফগানিস্তানের। করোনাভাইরাসের কারণে সেটি স্থগিত হয়। এক বছর পিছিয়ে ২০২১ সালের নভেম্বরে ওই ম্যাচের নতুন সূচি দেয়া হয়। পরে তালেবান সরকার নারী ক্রিকেটের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলে তার প্রতিবাদে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) স্থগিত করে দেয় টেস্টটি।এ প্রসঙ্গে রাশিদ বলেন, ‘একজন খেলোয়াড় হিসেবে এটি হতাশাজনক। বড় দলগুলোর বিপক্ষে খেলতে সব সময় আমরা মুখিয়ে থাকি। এ ম্যাচগুলোতে নিজের স্কিল বাড়ানো ও নতুন কৌশল আয়ত্ব করার সুযোগ থাকে।
‘অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই ম্যাচটির জন্য আমরা সবাই অপেক্ষায় ছিলাম। কিন্তু মাঝে মধ্যে সবকিছু আপনার পক্ষে থাকে না। আশা করি, তাদের বিপক্ষে খুব দ্রুতই খেলার সুযোগ আসবে।’
দেশের হয়ে ৫টি টেস্ট, ৮০টি ওয়ানডে ও ৫৮ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন ২৩ বছর বয়সী রাশিদ। টেস্টে ৩৪টি, ওয়ানডেতে ১৫১টি ও টি-টোয়েন্টিতে ১০৫টি উইকেট নিয়েছেন রাশিদ।