সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন বোলারদের কল্যাণে লড়াইয়ে ফিরেছে বাংলাদেশ। পোর্ট এলিজাবেথে প্রথম দিনশেষে স্বাগতিক দলের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২৭৮ রান।উইকেটে আছেন উইয়ান মালডার। তিনি রানে খাতা খোলেননি। তার সঙ্গী কাইল ভেরেইন অপরাজিত ১০ রানে।
দিনের শুরুটা দেখে বোঝা যায়নি বাংলাদেশ এতটা ভালোভাবে কামব্যাক করবে। প্রথম সেশনে টাইগার বোলারদের ছন্দহীন বোলিংয়ের সুযোগ নিয়ে রান পাহাড়ের দিকে ছুটতে থাকে সাউথ আফ্রিকা। মধ্যাহ্ন বিরতির পর্যন্ত সারিল এরউইয়ের উইকেট হারিয়ে ১০৭ রান করে সাউথ আফ্রিকা।
স্বাগতিক অধিনায়ক ডিন এলগার ফিফটি তুলে বাংলাদেশের মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়ান। দ্বিতীয় সেশনে ফিফটি তুলে নেন কিগান পিটারসেন।
এলগারকে আউট করে দলকে স্বস্তি দেন তাইজুল ইসলাম। টাইগার স্পিনারের ভেলকিতে ৭০ রানে লিটনের হাতে ধরা দিয়ে ফেরেন এলগার।
এরপর বৃষ্টির কারণে খেলায় বিরতি পড়ে আধঘণ্টার মতো। এরপর আবার জুটি গড়ে স্বাগতিকদের টানতে থাকেন টেম্বা বাভুমা ও পিটারসেন।
চা বিরতির আগে আরও একটি উইকেট তুলে নেয় টাইগাররা। পিটারসেন ও বাভুমার জুটি ভাঙেন তাইজুল। বিপজ্জনক হয়ে ওঠা পিটারসেনকে ৬৪ রানে মাঠছাড়া করেন তিনি।
৩ উইকেটে ১৯৯ রান নিয়ে দিনের শেষ সেশন শুরু করে সাউথ আফ্রিকা। এবারে রায়ান রিকেলটনের সঙ্গে রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেন বাভুমা।
৮৯ রানের জুটির পর বিদায় নিতে হয় রিকেলটনকে। ৪২ রান করে তাইজুলের বলে ইয়াসির আলির হাতে ধরা পড়েন তিনি।
স্বাগতিকদের দিন শেষ হওয়ার আগে আবারও ধাক্কা দেন খালেদ আহমেদ। দারুণ খেলতে থাকা বাভুমাকে মাঠছাড়া করেন এ পেইসার।
স্লিপে বাভুমার ব্যাট ছুঁয়ে যাওয়া বলে দারুণ লো-ক্যাচ নেন নাজমুল শান্ত। ৬৭ রান আসে বাভুমার ব্যাট থেকে।
সেট ব্যাটারকে হারিয়ে কিছুটা চাপে পরে প্রোটিয়ারা। প্রথম দিনের শেষ আধাঘণ্টা দারুণ চাপ সৃষ্টি করেন বাংলাদেশের বোলাররা। তবে ৫ উইকেটের বেশি খোয়ায়নি সাউথ আফ্রিকা।
অপরাজিত থেকে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মালডার ও ভেরেইন।
বাংলাদেশের পক্ষে সেরা বোলার ছিলেন তাইজুল। প্রথম টেস্টে বেঞ্চে বসার পর দ্বিতীয় টেস্টে সুযোগ পেয়ে আবারও মনে করিয়ে দিলেন কেন তিনি টেস্টে বাংলাদেশের অন্যতম স্ট্রাইক বোলার।
বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৩২ ওভার বল করেছেন এ স্পিনার। ৭৭ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। পেইসার খালেদ আহমেদ ৫৯ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট।