সিরিজের প্রথম টেস্টে জয়ের জন্য বাংলাদেশের সামনে ২৭৪ রানের লক্ষ্য দাঁড় করিয়েছে সাউথ আফ্রিকা। ৭৫ রানের লিড নিয়ে দিন শুরু করে চতুর্থ দিনের শেষ সেশনে ২০৪ রানেই থামে প্রোটিয়াদের ইনিংসের চাকা। আর সেই সুবাদে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৭৪ রানের।
চতুর্থ দিনের শুরুতে কয়েকটি সুযোগ পেলেও সেগুলো কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ। ইনিংসের ১৯তম এভারে এবাদত হোসেনের গুড লেন্থের এক ডেলিভারি ইনসুইং করে আঘাত হানে সারেল এরউইর প্যাডে।
প্রথমে আম্পায়ার আবেদনে সাড়া না দিলে রিভিউ নিতে দেরি করেননি এবাদত। সেই রিভিউ থেকে আউটের সিদ্ধান্ত আসে। তাতে ৫১ বল খেলে ৮ রান করে সাজঘরে ফিরতে হয় এরউইকে।
উইকেটের এক প্রান্ত ধরে লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন ডিন এলগার। ৩৪ রানে শান্ত ও ৪৩ রানে ইয়াসির আলি রাব্বির হাতে জীবন পান তিনি। জীবন পেয়ে সেটি কাজে লাগিয়েছেন তিনি। তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের ২১তম অর্ধশতক।
এলগার ও কিগান পিটারসেনের ব্যাটে ভর করে ১৫০ রানের লিড ছাড়ায় স্বাগতিকরা। ১৭৪ রানের লিড নিয়ে যায় মধ্যাহ্ন বিরতিতে।
বিরতি থেকে ফিরে বেশিক্ষণ উইকেটে থাকা হয়নি এলগারের। তাসকিন আহমেদের এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। এই উইকেটটিও বাংলাদেশ পায় রিভিউয়ের বদৌলতে।
চতুর্থ দিনের শুরু থেকে ক্যাচ মিসের মহড়া দিচ্ছিল বাংলাদেশ। প্রোটিয়া অধিনায়ক ডিন এলগারের ক্যাচই দুইবার ছাড়েন বাংলাদেশি ফিল্ডাররা।
মধ্যাহ্ন বিরতির পর সে ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশ। প্রথমে ক্লোজ ইনে দারুণ এক ক্যাচ নিয়ে কিগান পিটারসেনকে ফেরান মাহমুদুল হাসান জয়। বোলার ছিলেন মেহেদী মিরাজ।
পরের ওভারে এবাদতের ডেলিভারিতে টেম্বা বাভুমার ব্যাট ছুঁয়ে যাওয়া বল স্লিপে বাম হাতে দারুণ দক্ষতায় লুফে নেন ইয়াসির রাব্বি।
এরপর খুব একটা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেননি কোনো প্রোটিয়া ব্যাটারই। বাংলাদেশের বোলারদের কল্যাণে ২০৪ রান তুলতেই অল আউট হতে হয় তাদের।
বাংলাদেশের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন মিরাজ ও এবাদত। দুটি উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ।